ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর যন্ত্রণাদায়ক ব্যথা, উচ্চ তাপমাত্রা এবং দুর্বলতা দেখা দেয়। পরিস্থিতি খারাপ হলে সেরে উঠতে কয়েক মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। আবার স্বাস্থ্যকর খাবার ডেঙ্গু জ্বর থেকে সেরে উঠতে সাহায্য করে। দ্রুত সেরে উঠতে ডেঙ্গু রোগীকে এই খাবারগুলো খেতে দিন।
বেদানা
ডেঙ্গুর জন্য অন্যতম পুষ্টিকর ফল হলো বেদানা। এই ফল ভিটামিন, খনিজ এবং অন্যান্য পুষ্টিতে পরিপূর্ণ, যা শরীরকে প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করে। এতে প্রচুর আয়রন উপাদান রয়েছে, যা ডেঙ্গু আক্রান্তদের প্রয়োজনীয় রক্তের প্লাটিলেট বজায় রাখতে এবং ডেঙ্গু থেকে দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করে।
ডাবের পানি
ডাবের পানি খনিজের একটি সমৃদ্ধ উৎস। ডাবের পানি খেলে ডিহাইড্রেশন কমে যাবে ও শরীরের ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্য স্থিতিশীল রাখে। এটি দুর্বলতাও কমায় এবং শরীরকে উদ্দীপিত রাখে। প্রতিদিন দুই গ্লাস ডাবের পানি পান করলে দ্রুত উপকার পাওয়া যাবে।
ব্রকলি
ব্রকলি ভিটামিন কে-এর অন্যতম উৎস, যা রক্তে প্লাটিলেট বাড়াতে সাহায্য করে। ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির প্লাটিলেট কমতে থাকলে তাদের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে ব্রকলি খেতে হবে।
ভেষজ চা
ভেষজ চায়ে থাকে কিছু প্রয়োজনীয় উপাদান, যা ডেঙ্গু রোগীদের শরীর ও মনকে শান্ত করতে সাহায্য করতে পারে। চা তৈরিতে এলাচ, পুদিনা, দারুচিনি, আদা এবং অন্যান্য ভেষজ ব্যবহার করতে পারেন। এই পানীয় আরামদায়ক ঘুম এনে দেয়, যা দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করে।
দই
দই খেলে তা ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাল রোগের সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে। এটি অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া তৈরি করে, যা শরীর থেকে টক্সিন দূর করে। ডেঙ্গু রোগীকে দই খেতে দিলে সে দ্রুতই সেরে উঠবে।
ওটমিল
শরীরের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনার জন্য কার্বোহাইড্রেট গুরুত্বপূর্ণ। ওটমিল হজম করা সহজ। এর সবচেয়ে ভালো দিক হলো, আপনার ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স থাকলেও এটি খেতে পারবেন।
ভেষজ এবং মসলা
হলুদ, আদা, রসুন, গোলমরিচ, দারুচিনি, এলাচ এবং জায়ফলে থাকে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টিভাইরাল, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং ইমিউন-বুস্টিংবৈশিষ্ট্য। এগুলো টি-কোষের মতো ইমিউন কোষ নিয়ন্ত্রণ করে, যা শরীরকে ভাইরাস প্রতিরোধে সাহায্য করে।