পুষ্টিগুণে ভরপুর পটোল সারা বছরই এখন পাওয়া যায় বাজারে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন পটোল বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত। কারণ, বিভিন্ন রকম ভিটামিন এবং খনিজে ভরপুর এই সবজি একাধিক শারীরিক সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক পটোলের উপকারিতা।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমিয়ে দেয়
পটোলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। আর ফাইবার মল নির্গমনে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমায়। হজমসংক্রান্ত সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে। নিয়মিত পটোল খেলে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকে, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রোগের ঝুঁকিও কমে।
বলিরেখা পড়তে দেয় না
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চোখে-মুখে বলিরেখা দেখা দেয়। ত্বক কুঁচকে যেতে শুরু করে। পটলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ এবং সি রয়েছে। এসব উপাদান ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়তে বাধা দেয়।
রক্ত পরিষ্কার করে
শরীরকে জটিল রোগব্যাধি থেকে বাঁচাতে গেলে রক্ত পরিশোধন করা খুব জরুরি। পটোল রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। ফলে অনেক ধরনের জটিল রোগ থেকে শরীর সুরক্ষিত থাকে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
পটোলের ভিটামিন সি উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ এবং জটিল রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকে শরীর। বিশেষত মৌসুম বদলের সময়ে হওয়া সর্দি-কাশি, জ্বর প্রতিরোধ করতে খুব কার্যকর পটোল। লিভারের সমস্যায়ও পটোল বেশ উপকারী।
হার্ট সুস্থ থাকে
পটোলে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও পলিফেনল, যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। এ ছাড়া পটোল রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে এবং রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ফলে হৃদযন্ত্র ভালো থাকে। স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে
পটোলে ক্যালরি ও ফ্যাট খুবই কম। পটোলে যে ফাইবার পাওয়া যায়, তা হজম হতে সময় লাগে। যে কারণে দীর্ঘক্ষণ ক্ষুধা পায় না। ফলে যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তাদের জন্য আদর্শ খাবার হতে পারে পটোল।