বাবা-মায়ের যে ভুলের কারণে শিশুর ঠান্ডা লাগে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২৫, ০৩:২৭ পিএম
বাবা-মায়ের যে ভুলের কারণে শিশুর ঠান্ডা লাগে
ছবি: সংগৃহীত

শিশুরা সহজেই ঠান্ডা বা সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হয়। বিশেষ করে আবহাওয়ার পরিবর্তন, বর্ষা বা শীতকালে। তবে অনেক সময় অভিভাবকদের কিছু সাধারণ ভুলের কারণেও শিশুর ঠান্ডা লেগে যায়। এই ভুলগুলো এড়িয়ে চললে শিশুকে বারবার ঠান্ডায় আক্রান্ত হওয়া থেকে অনেকটাই রক্ষা করা সম্ভব।

অতিরিক্ত গরম কাপড় পরানো
অনেক অভিভাবক শিশুকে অতিরিক্ত কাপড় পরিয়ে ফেলেন। বিশেষ করে আবহাওয়া হালকা ঠান্ডা থাকলেই গরম কাপড় পরানো হয়। এতে শিশুর শরীর ঘামে। আর ঘাম শুকিয়ে গেলেই ঠান্ডা লাগে। শিশুকে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি গরম জামাকাপড় পরানো এক ধরনের অস্বস্তি তৈরি করে এবং তা শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য নষ্ট করে ফেলে। তাই বাচ্চার বয়স ও আবহাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে হালকা উষ্ণ কাপড় পরাতে হবে। গরম অনুভব করছে কি না তা বোঝার জন্য তার ঘাড় বা পিঠ ছুঁয়ে দেখে নিন।

ভেজা কাপড় বা ঘাম শুকাতে না দেওয়া
বৃষ্টি কিংবা খেলাধুলার সময় শিশুর কাপড় ভিজে গেলে অভিভাবকরা সঙ্গে সঙ্গে তা পরিবর্তন করেন না। ভেজা কাপড় গায়ে থাকলে বা ঘাম শুকিয়ে গেলে শরীর ঠান্ডা হয় এবং সহজেই সর্দি-কাশি ধরে। তাই শিশুর কাপড় ভিজে গেলে সঙ্গে সঙ্গে শুকনো ও আরামদায়ক কাপড় পরিয়ে দিন। খেলার পর শরীর মুছে গরম পানিতে হাত–পা ধুয়ে মুছিয়ে দিন।

ঠান্ডা খাবার ও পানীয় খাওয়ানো
শিশুরা ঠান্ডা পানীয়, বরফ মিশ্রিত জুস, আইসক্রিম খেতে ভালোবাসে। কিন্তু অতিরিক্ত ঠান্ডা খাবার বা ফ্রিজের পানি খাওয়ার কারণে গলা বসে যায়, গলায় ব্যথা হয় এবং সর্দি-কাশি দেখা দেয়। শিশুকে ঠান্ডা পানি বা খাবার সীমিতভাবে খাওয়ান। প্রয়োজনে পানি হালকা কুসুম গরম করে দিন।

শিশুর ঘর পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলহীন বা স্যাঁতসেঁতে রাখা
ঘর বেশি বন্ধ বা আর্দ্র থাকলে সেখানে জীবাণু, ছত্রাক ও ঠান্ডা বাতাস জমে থাকে। এতে শিশুর শ্বাসতন্ত্রে সমস্যা হয় এবং ঠান্ডা লেগে যেতে পারে।
শিশুর ঘরে প্রতিদিন কিছু সময় জানালা খুলে দিন যাতে আলো ও বাতাস ঢুকে। ঘর পরিষ্কার ও শুকনো রাখুন।

ভুল সময় গোসল করানো
অনেক সময় সকালে বা রাতে ঠান্ডা পানিতে গোসল করিয়ে দেওয়া হয়, যা শিশুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষ করে ঠান্ডা আবহাওয়ায় ঠান্ডা পানিতে গোসল শিশুর শরীরে তাপমাত্রা কমিয়ে দেয় এবং ঠান্ডা বাড়ায়। তাই সকালে উষ্ণ সময়ে হালকা গরম পানিতে গোসল করান। গোসল শেষে শরীর ভালোভাবে মুছে গরম কাপড় পরিয়ে দিন।

ধুলাবালি ও ঠান্ডা বাতাসে বের করা
শিশুকে বাইরের ধুলাবালি, ঠান্ডা হাওয়া বা বৃষ্টিতে বের করা হলে তার শ্বাসতন্ত্র আক্রান্ত হয়, ফলে সহজেই ঠান্ডা লেগে যায়। বাইরে বের করার সময় শিশুকে মাথা, বুক ও কান ঢেকে দিন। ধুলাবালির দিন বা ঠান্ডা বাতাসে বের না করাই ভালো।

ভুল চিকিৎসা বা ওষুধ না দেওয়া
অনেক সময় ঠান্ডাকে সাধারণ সমস্যা মনে করে গুরুত্ব না দিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ওষুধ খাওয়ানো হয়। এতে শিশুর রোগ বাড়তে পারে। শিশুর ঠান্ডা কয়েকদিনে ভালো না হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নিজে থেকে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া বিপজ্জনক।

Link copied!