ওজন বা পেটের মেদ কমানোর অন্যতম উপায় হচ্ছে নিয়মিত হাঁটা। হাঁটলে শরীরের ওজন ঠিক থাকে। রোগ-বালাইও কম হয়। তবে হাঁটারও নিয়ম রয়েছে। যা দ্রুত মেদ কমাতে সক্ষম। জানেন কি, হাঁটার সেই পদ্ধতি কী? এই পদ্ধতির নাম হচ্ছে‘পিরামিড ওয়াকিং’। এই বিশেষ পদ্ধতিতে ওজন কমবে খুব তাড়াতাড়ি।
পেটের মেদ নিয়ে যারা চিন্তায় থাকেন, তাদের জন্য কার্যকর হতে পারে নিয়ে ‘পিরামিড ওয়াকিং’।
পিরামিড ওয়াকিং মানে হচ্ছে খুব জোরে হাঁটাও নয়, আবার ধীরে হাঁটাও নয়। এই পদ্ধতিতে শরীরে ঘাম ঝরিয়ে হাঁটতে হবে। আবার শরীরে ক্লান্তি ভাবও যেন না হয়। পিরামিডের আকার মনে করে হাটঁতে হবে। নীচের অংশের আয়তন বেশি, উপরের অংশটা ধীরে ধীরে সরু হয়। হাঁটার পদ্ধতিও এমনই হবে। হাঁটা শুরু করতে হবে ধীরে ধীরে। হাঁটতে হবে এক পা, দু’পা করে। এরপর গতি বাড়বে। শরীর সয়ে গেলে হাঁটার গতি আরও বাড়াতে হবে। শেষের দিকে জোরে হাঁটতে হবে। এরপর আবারও গতি কমিয়ে ধীরে ধীরে আগের অবস্থায় ফিরতে হবে।
পিরামিড ওয়াকিং’এর চারটি ধাপ রয়েছে। ২০-২৫ মিনিট সময় হাতে রাখতে হবে। এরমধ্যেই চারটি পর্ব শেষ করতে হবে। এতে শরীরের ধকলও কমবে। হাঁটাও হবে নিয়ম মেনে। হাঁটার এই পদ্ধতির প্রতিটি ধাপই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি মিনিটেই ক্যালোরি পুড়বে। ভারী খাবার খাওয়ার পরেও এভাবে হাঁটলে হজম ভালো হবে। বাড়তি ক্যালোরি ঝরে যাবে।
ওয়ার্ম আম
ফ্রি-হ্যান্ড এক্সারসাইজ় করে শরীরকে এক্টিভ করতে হবে। এক জায়গায় দাঁড়িয়ে স্পট জগিং বা জাম্পিং জ্যাক করতে পারেন। ওয়ার্ম আপের জন্য সময় দিতে হবে ৩ থেকে ৫ মনিট।
বিল্ড-আপ পর্ব
‘ব্রিস্ক ওয়াকিং’ দিয়ে শুরু করতে হবে। অর্থাৎ, ধীরে হাঁটা শুরু করতে হবে। ১ মিনিট দুলকি চালে হাঁটলে পেশির আড়ষ্টতা দূর হবে। এর পরের ৩ মিনিট গতি আরেকটু বাড়াতে হবে। বিরতি ছাড়া একটানা হাঁটতে হবে।
পিক পর্ব
গতি একই রকম রেখে ৪ মিনিট খুব জোরে হাঁটতে হবে। ঢালু পথে হাঁটলে বেশি ভালো হবে।
কুল-ডাউন পর্ব
এই পর্যায়প ধীরে ধীরে গতি কমাতে হবে। পরের ৩ মিনিট আস্তে হাঁটুন। এতে শরীরের রক্তচাপে ভারসাম্য বজায় থাকবে। গতি আরও কমাতে হবে। পরের ২ মিনিট আরও ধীরে হাঁটতে হবে। গতি একেবারে কমিয়ে আবার দুলকি চালে ফিরতে হবে। ১ মিনিট এভাবে হেঁটে এরপর বিশ্রাম নিন।
বিশেষজ্ঞরা জানান, পিরামিড ওয়াকিংয়ে শুধু মেদ কমে না, হার্টের জন্যও ভালো। ডায়াবিটিসের রোগীরা রক্তে শর্করা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসবে। তবে হার্টে অস্ত্রোপচার হলে বা আর্থ্রাইটিসের সমস্যা থাকলে চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে হবে।