• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

যে ৬ পানীয়ে চুমুক দিলে কমবে কোলেস্টেরল


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০২৩, ১০:২৯ এএম
যে ৬ পানীয়ে চুমুক দিলে কমবে কোলেস্টেরল

শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার পেছনে অন্যতম কারণ হলো জীবনযাপনে অনিয়ম করা। যদিও অনেক সময় ব্যস্ততার কারণে নিয়ম মেনে চলার সুযোগ থাকে না। তবু যতটুকু সম্ভব সঠিকভাবে নিজের যত্ন নেওয়া উচিত। আজ জানিয়ে দেব শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর জন্য কয়েকটি পানীয় দারুণ কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। আপনারও যদি কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গিয়ে থাকে তাহলে এসব পানীয় খেতে পারেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

গ্রিন টি
গ্রিন টি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি কোলেস্টেরল কমাতেও অত্যন্ত উপকারী। গ্রিন টি-তে থাকা ক্যাটাচিন এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট উপাদান কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। গবেষণা জানাচ্ছে, দুইমাস একটানা প্রতিদিন গ্রিন টি খেলে খারাপ কোলেস্টেরল এলডিএলের মাত্রা ১৪ শতাংশ কমে যায়।

বেরির স্মুদি
ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি, ক্র্যানবেরিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও ফাইবার। কম ফ্যাট যুক্ত দুধের সঙ্গে বিভিন্ন প্রকার বেরি মিশিয়ে তৈরি করে নিন স্মুদি। কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকলে সকালের নাস্তার সঙ্গে বেরির স্মুদি রাখতেই পারেন। সপ্তাহে ৩ দিন খেলেই হবে। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

কমলালেবুর রস
কমলালেবুর রস খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এবং ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, প্রতি দিন ২ কাপ করে কমলালেবুর রস খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়। কমলালেবু শুধু কোলেস্টেরল নয়, হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে।

টমেটো রস
টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে লাইকোপেন রয়েছে যা একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে সুপরিচিত। টমেটো কোষের ক্ষতি রোধ করতে সাহায্য করে। ২ মাস প্রতিদিন ২৮০ মিলিলিটার টমেটোর রস পান করলে কোলেস্টেরলের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হবে।

ওটস দুধ
ওটস দুধ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে খুবই কার্যকরী। এতে রয়েছে বিটা-গ্লুকান নামক পদার্থ যা পিত্ত লবণের সঙ্গে মিশে যায় এবং অন্ত্রের মধ্যে একটি দেয়ালের মত স্তর তৈরি করে যা কোলেস্টেরলের শোষণ কমাতে সাহায্য করে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব মানুষ টানা ৫ সপ্তাহ প্রতিদিন প্রায় ৭৫০ মিলিলিটার ওট দুধ পান করে, তাদের রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমেছে ৩ শতাংশ এবং খারাপ কোলেস্টেরল, অর্থাৎ এলডিএলের মাত্রা কমেছে ৫ শতাংশ।

নারকেল দুধ
নারকেলের ভেতরের সাদা অংশ থেকে দুধ বানানো  হয়ে থাকে এবং ঘরেই এই দুধ বানানো সম্ভব। এ ছাড়া প্যাকেটেও কিনতে পাওয়া যায়।  ১ কাপ  অর্থাৎ ২৪০ মিলি নারকেলের দুধে রয়েছে ৪৬ ক্যালরি, ১ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট ও ৪ গ্রাম চর্বি। প্রোটিন না থাকলেও অন্যান্য উদ্ভিজ্জ দুধের চেয়ে এতে চর্বির পরিমাণ অনেক বেশি। তবে এর মিডিয়াম চেইন ট্রাইগ্লিসারাইড হৃদযন্ত্রের জন্য খুবই উপকারী। এই মিডিয়াম চেইন ট্রাইগ্লিসারাইড ফ্যাটি অ্যাসিড, রক্তে এইচডিএল, অর্থাৎ ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহায্য করে।


প্রতিদিন অন্তত ৩-৪ লিটার পানি শরীরের ডিটক্সিফিকেশন করতে সাহায্য করে এবং অনেক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। আর কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে যদি, ফাইবারযুক্ত খাওয়া বাড়িয়ে, স্যাচুরেটেড ফ্যাট খাওয়া কমিয়ে, উদ্ভিদ ভিত্তিক খাবার গ্রহণ করা হয়। শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক থাকলে একজন মানুষ দীর্ঘ এবং সুস্থ জীবন কাটাতে পারবে।

Link copied!