অনেক নারীর ক্ষেত্রে দেখা যায়, ওজন বেড়ে যাচ্ছে, মুখে লোমের পরিমাণ অতিরিক্ত, ত্বকে ব্রণের আধিক্য, অনিয়মিত ঋতুস্রাব। এই উপসর্গগুলো আসলে অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য হয়ে থাকে। এখন প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজন নারীই আক্রান্ত হন এই অসুখে। এ রোগের ছদ্মনাম পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম বা পিসিওএস। এই রোগে আক্রান্ত হলে মূলত শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। চিকিৎসকরা উপসর্গগুলো কমানোর জন্য মূলত হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য ওষুধ দেন। কিন্তু তাদের নির্দেশনা একটাই থাকে যে অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রার অভ্যাস কমাতে হবে। নিয়মিত শরীরচর্চা, সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখলে এই রোগের সঙ্গে মোকাবিলা করা যায়। পিসিওএস নিয়ে যে ভ্রান্ত ধারণাগুলো রয়েছে। যেমন—
গর্ভধারণে ঝুঁকি
এই রোগের মূল সমস্যা ডিম্বাণু উৎপাদন না হওয়া। তাই অনেক নারী আতঙ্কে থাকেন যে তাদের গর্ভধারণে সমস্যা হবে। অনেকের ধারণা পিসিওএস মানেই মা হওয়া যায় না। কিন্তু এই ধারণা সঠিক নয়। পিসিওএস থাকা সত্ত্বেও বহু মেয়েই স্বাভাবিক নিয়মে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে থাকেন।
ডিম্বাশয়ে সিস্ট থাকলেই পিসিওএসের লক্ষণ
এই রোগে আক্রান্ত হলে নারীদের ডিম্বাণু উৎপাদনে সমস্যা হয়। অনেকের ক্ষেত্রেই ডিম্বাশয়ের বাইরে ছোট ছোট সিস্ট দেখা যায়। তবে আলট্রাসাউন্ড করিয়ে যদি দেখেন ডিম্বাশয়ের বাইরে কোনো রকম সিস্ট নেই, তার মানে এই নয় যে আপনার শরীরে এই রোগ বাসা বাঁধেনি। আবার ডিম্বাশয়ে কোনো সিস্ট থাকা মানেই যে সেটা পিসিওএসের লক্ষণ, এমনটাও নয়। বিভিন্ন কারণেই সিস্ট হতে পারে।