ভুঁড়ির কারণে যে নানারকম অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সমীক্ষা বলছে, এ দেশের কয়েক কোটি জনসংখ্যার বড়সড় ভুঁড়ি অর্থাৎ ‘অ্যাবডোমিনাল ওবেসিটি’ রয়েছে। ওজন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভুঁড়ি বাড়লে নানা ধরনের অসুখেরও জন্ম হয়। অনেক সময় বংশগত কারণেও হতে পারে। তবে কারণ যা-ই থাক, একবার পেটের মেদ বেড়ে গেলে তা দ্রুত কমানো জরুরি। তবে তার জন্য যে সবসময় জিমে ছুটতে হবে, তার কোনও মানে নেই। ঘরোয়া উপায়েও কমাতে পারেন ভুঁড়ি।
ত্রিফলা
ওজন কমানোর অন্যতম আয়ুর্বেদিক টোটকা হল ত্রিফলা। আমলকি, হরিতকি আর বয়রা এই তিন ফলের গুঁড়া পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করবে। গরম পানিতে ত্রিফলার গুঁড়া মিশিয়ে ঘুমোতে যাওয়ার আগে খেতে পারেন। উপকার পাবেন।
লেবু জল
হজম ঠিকমতো হয় না বলেই মূলত ভুঁড়ি বেড়ে যায়। তাই হজমের সমস্যা কমাতে হবে আগে। তার জন্য রোজ সকালে ঈষদুষ্ণ পানিতে পাতি লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন। তাতে বিপাকক্রিয়া ভালো হবে। ভুঁড়িও কমবে।
আদা চা
চা পেলে বাঙালির আর কিছু চাই না। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, চা খেয়েই কমাতে পারেন মধ্যপ্রদেশ। তবে চায়ের মধ্যে মেশাতে হবে আদা। আদায় থাকা ‘জিঞ্জেরল’ উপাদান পেটের বাড়তি চর্বি গলিয়ে দেয়।
কম ফ্যাটযু্ক্ত খাবার
স্বাস্থ্যকর ডায়েটেও ঝরতে পারে পেটের মেদ। ভুঁড়ি কমাতে পাতে রাখতে হবে ফ্যাটের পরিমাণ কম, এমন কিছু খাবার। বরং ফাইবার সমৃদ্ধ শাকসব্জি, ফল, নানা ধরনের শস্য বেশি করে খাওয়ার কথা বলা হয়।
যোগাসন
জিমে না গেলেও কমবে ভুঁড়ি। তাই বলে একেবারে শরীরচর্চা বন্ধ করলে চলবে না। নিয়ম করে যোগাসন করতে হবে। সেই সঙ্গে কিছু ব্যায়াম। ওজন কমাতে শরীরচর্চার কোনও বিকল্প সত্যিই নেই। নৌকাসন, সর্বাঙ্গআসন, বালাসনের মতো কয়েকটি ব্যায়াম যদি নিয়মিত করা যায়, তা হলে ভুঁড়ি কমবে অচিরেই।