ডিমের পুষ্টির দিকে তাকালে, একটি ডিমে মোটামুটি ৭৫ ক্যালোরি, ৫ গ্রাম ফ্যাট, ৬ গ্রাম প্রোটিন, ৬৭ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম, ৭০ গ্রাম সোডিয়াম এবং ২১০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল রয়েছে। এছাড়াও ডিম ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন বি ১২-এর একটি বড় উৎস। কিন্তু কথা হলো তাই বলে কী প্রতিদিন ডিম খাওয়া উচিত?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন ডিম খেলে শরীরে একাধিক পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হয়। তবে অতিরিক্ত ডিম খাওয়া অবশ্যই এড়াতে হবে। স্বাস্থ্যগত কোনো সমস্যা না থাকলে একটি বা দুটি ডিম দৈনিক খাওয়া যেতেই পারে। ডিমের অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা। একটি ডিমে অ্যানার্জি থাকে ১৪৩ ক্যালোরি। আর কার্বোহাইড্রেট থাকে ০.৭২ গ্রাম মতো।
প্রোটিন থাকে ১২.৫৬ গ্রাম, ফ্যাট থাকে ৯.৫১ গ্রাম। এছাড়া ফসফরাস থাকে ১৯৮ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ১৩৮ মিলিগ্রাম, জিঙ্ক থাকে ১.২৯ মিলিগ্রাম। ডিমের সাদা অংশে থাকে প্রোটিন ও কুসুমে থাকে ভালো ফ্যাট, আয়রন ও ভিটামিন।
শিশুর দৈহিক বৃদ্ধি, হাড় শক্ত করতে ও মেধার বিকাশে ডিম খুবই কার্যকর। ডিমে আরও আছে ভিটামিন এ, যা দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে। আর কুসুমে থাকা ভিটামিন ডি, হাড়ের জন্য ভালো। তাছাড়া ডিমে থাকা কেরোটিনয়েড আর ল্যুটেন বয়স হয়ে গেলে চোখের এক বড় সমস্যা, ম্যাকুলার ডিজেনারেশন হওয়ার সম্ভাবনা কমায়।
ডিমকে সুপারফুড বলা হয়। চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতেও ডিম বেশ কার্যকর। পালং শাকের মতোই ডিমের কুসুমেও থাকে লুটেন ও জিয়াজ্যানথিন, যারা চোখের রেটিনার ক্ষয় প্রতিরোধে বেশ কার্যকর।
সেদ্ধ ডিমে প্রাকৃতিকভাবেই প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায়। প্রোটিন শরীরের সব কোষ গঠনে সহায়তা করে ও চুলের জন্য একটি প্রয়োজনীয় উপাদান। প্রতিদিনের খাবারের ১০-৩৫ শতাংশ পর্যন্ত অথবা ৫০ গ্রাম থেকে ১৭৫ গ্রাম প্রোটিন থাকা উচিত। সকালের নাশতায় একটি সেদ্ধ ডিম খেলে ৬ গ্রামের বেশি প্রোটিন পাওয়া যায়। যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
সকালের নাশতায় অমলেট হোক বা সেদ্ধ ডিম খেলে অনেকক্ষণ আপনার পেট ভরিয়ে রাখবে। ফলে বারবার খাওয়ার চাহিদা কমবে। এতে ওজন বাড়ার সম্ভাবনাও কম।