• ঢাকা
  • শনিবার, ১১ মে, ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ঘরোয়া উপায়ে সর্দি-কাশি দূর করুন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২৩, ১০:৩২ এএম
ঘরোয়া উপায়ে সর্দি-কাশি দূর করুন

চলছে ঠান্ডা আবহাওয়া। অনেকেই বাইরে যাওয়ার পর বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে বাসায় ফেরেন। এমন অবস্থায় সর্দি-কাশি হতে পারে অনেকেরই। যারা ঘরে আছেন তারাও যে এসব ঠান্ডাজনিত অসুখ থেকে রেহাই পাবেন তা নয়। অন্যদিকে এমনও অনেকে আছেন সামান্য জ্বর-ঠান্ডা হলে ডাক্তারের কাছে যেতে চান না সহজেই। তারা চাইলে কিন্তু ঘরেই প্রাথমিক চিকিৎসাটা সেরে নিতে পারেন। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক ঠান্ডা-কাশি সারাতে ঘরোয়াভাবে কী কী করবেন-

মধু 
কাশি সারাতে ঘরোয়া চিকিৎসা হিসেবে মধু অতুলনীয়। মধু কাশি-কফ কমাতে সাহায্য করে। কখনো কখনো ওষুধের চেয়েও ভালো কাজ করে মধু। মধু কাশি বা ঠান্ডার জন্য আদর্শ ওষুধ হলেও ১ বছর বয়সের নিচে শিশুদের মধু খাওয়ানো একেবারেই উচিত নয়।

আদা
আদা ছোট ছোট টুকরা করে তার সঙ্গে লবণ মিশিয়ে নিয়ে কিছুক্ষণ পর পর খেতে হবে। এই পদ্ধতি কাশি দূর করতে বেশ কার্যকরী। তাছাড়া আদা চা করে খেলেও কাশিতে উপকার পাবেন।

গরম দুধে হলুদের মিশ্রণ 
দুধকে গরম করে এর মধ্যে অল্প হলুদ মেশাতে হবে। এই হলুদমিশ্রিত দুধ কাশি দূর করতে বেশ উপকারী। হলুদ আমাদের সর্দি কাশি দূর করতে সাহায্য করে।

বাসক পাতা
বাসক পাতা পানিতে সেদ্ধ করে, সেই পানি ছেঁকে নিয়ে কুসুম গরম অবস্থায় খেলে কাশি উপশম হয়। প্রতিদিন সকালে এই পানি খেতে হবে। বাসক পাতার রস প্রতিদিন সন্ধ্যায় খেলে ভালো। ২-৩ দিনেই এর খুব ভালো ফল পাওয়া যায়। তেতোভাব কমাতে রসের সঙ্গে সামান্য চিনি মেশাতে পারেন।

তুলসী পাতা
তুলসী পাতা থেঁতো করে এতে কয়েক ফোটা মধু মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরী করতে হবে। এই মিশ্রণটি দিনে ২-৩ বার খেলে কাশি ভালো হয়।

লবঙ্গ
কাশি হলে মুখে একটা লবঙ্গ রেখে মাঝেমধ্যে একটু চাপ দিয়ে রস বের করে গিলে ফেলুন। লবঙ্গের রস গলায় আরাম দেবে, জীবাণু দূর করবে।

মেন্থল ক্যান্ডি
মেন্থল দিয়ে তৈরী ক্যান্ডি কাশির জন্য উপকারী। এসব ক্যান্ডি শক্ত কফ নরম করে গলা থেকে কফ বের করতে ও কাশি কমাতে পারে।

গার্গল করা 
গার্গল করলে কাশি ও গলা ব্যথা দুই-ই কমে। এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে আধা চা চামচ লবণ মিশিয়ে ১০-১৫ মিনিট ধরে গার্গল করুন। এটি কাশি কমাতে বেশ কার্যকর।

গরম পানি
কাশি হলে ঠান্ডা পানির পরিবর্তে চেষ্টা করুন গরম পানি পান করার। কাশি হলে গরম পানিতে গোসল করুন। এটা শরীর থেকে কাশির জীবাণুগুলোকে বের করে দেয়।

বিভিন্ন কারণেই কাশি হয়ে থাকে। অনেক সময় ফুসফুসে সংক্রমণ, নিউমোনিয়া, যক্ষা ইত্যাদি কারণেও কাশি হয়। এ ক্ষেত্রে কাশি দীর্ঘদিন চলতে থাকে এবং বুকে ব্যথা হয়ে যায়। দেখা দেয় শ্বাসকষ্টসহ আরও বিভিন্ন সমস্যাও। এমন হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এসব পদ্ধতি অনুসরণ করার পরও যদি কাশি না কমে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।

Link copied!