পাল্টাপাল্টি আক্রমণের মধ্যেও পরমাণুবিষয়ক আলোচনা অব্যাহত রাখতে হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আগে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাতে হবে বলে জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই।
সোমবার (১৬ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
রোববার (১৫ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা হওয়ার কথা থাকলেও ইরান সেটি বাতিল করে। ইরান বলছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া ‘অর্থহীন’। কেননা, ইসরায়েলি হামলার পেছনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও ‘হাত রয়েছে’ বলে মনে করেন দেশটির নেতারা।
ইসমাইল বাঘাই বলেন, “ইরান সব সময় জোর দিয়ে বলে আসছে তার পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ। কিন্তু ইসরায়েল সেটি প্রত্যাখ্যান করেছে। এখন ইরানের পার্লামেন্ট পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (এনপিটি) থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে, সেটি ‘অবশ্যই’ পালন করা হবে।”
এদিকে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। ইসরায়েলের তেল আবিব ও হাইফা শহরে ইরান নতুন করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এ হামলায় অন্তত ৮ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ হামলার কয়েক ঘণ্টা আগেই ইসরায়েল ফের ইরানের রাজধানী তেহরানে বিমান হামলা চালায়। তেহরানসহ ইরানের কয়েকটি শহরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় এবং আকাশে ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যায় বলে স্থানীয় সূত্রে।
ইসরায়েলি হামলায় ইরানে এখন পর্যন্ত ২২০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইরানি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, যার মধ্যে ৭০ জন নারী ও শিশু রয়েছে।
রোববারের হামলায় ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর গোয়েন্দা প্রধানসহ আরও দুই জেনারেল নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে ইরানের সামরিক বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি ঘটেছে।
ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, এ হামলার যথাযথ জবাব শিগগিরই দেওয়া হবে। আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
অন্যদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে ‘সুনির্দিষ্ট হামলা’ চালিয়েছে এবং অভিযান চলমান থাকবে।