• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

গাছতলায় চলছে পাঠদান


বরগুনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ২৯, ২০২৩, ০৫:৫৩ পিএম
গাছতলায় চলছে পাঠদান

বরগুনার আমতলীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বর্ষা মৌসুমেও খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করাচ্ছেন শিক্ষকরা। তিন বছর আগে বিদ্যালয়ের একমাত্র ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর নতুন ভবন না হওয়ায় বাধ্য হয়েই রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে খোলা আকাশের নিচে পাঠদান কার্যক্রম চালাচ্ছেন শিক্ষকরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৭৩ সালে উত্তর টিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা হয়। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে টিনশেড ঘরে বিদ্যালয়টির কার্যক্রম চলছিল। ২০০৩ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর একতলা ভবন নির্মাণ করে দেয়। ভবন নির্মাণের ১০ বছরের মাথায় ছাদে ও দেয়ালে ফাটল ধরে। পরে ২০২১ সালে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস কর্তৃপক্ষ ওই বিদ্যালয়ের ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন। এরপর থেকেই শিক্ষার্থীদের রোদে গাছতলায় এবং বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত ভবনের বারান্দায় পাঠদান করাচ্ছেন শিক্ষকরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের গাছতলায় এবং তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পরিত্যক্ত ভবনের বারান্দায় পাঠদান করানো হচ্ছে। আর অন্য শ্রেণির ক্লাস চলছে একটি ছোট টিনের ঘরে।

শিক্ষার্থী আবু হানিফ বলেন, “প্রচণ্ড রোদে গাছতলায় আমরা কষ্ট করে ক্লাস করছি।”  

সহকারী শিক্ষক মোশাররফ বলেন, “স্কুল চলাকালীন ঝড় বৃষ্টি এলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই আশ্রয় নিতে হয়। এসব কারণে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমছে। বাধ্য হয়ে অনেক শিশুই কয়েক কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে পার্শ্ববর্তী এলাকার বিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছে।”  

সহকারী শিক্ষক ডেইজি বিশ্বাস বলেন, “প্রচণ্ড রোদে গাছতলায় এবং বৃষ্টিতে বারান্দায় ক্লাস করছি। গত তিন বছর ধরে এভাবেই চলছে। এতে আমাদের সমস্যা হচ্ছে।”

প্রধান শিক্ষক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, “নতুন ভবন নির্মাণের জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসে আবেদন করলেও ভবন নির্মাণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।”

আমতলীর প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সফিকুর রহমান বলেন, “ওই বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের চাহিদা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেয়নি।”

আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, “দ্রুত ওই বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Link copied!