টানা ১০ দিন পর নীলফামারীর আকাশে উঁকি দিল সূর্য। তীব্র ঠান্ডার মধ্যে কিছুটা উষ্ণতার পরশ পেল এ জেলার মানুষ।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে রোদের দেখা পাওয়ায় ঘর থেকে বের হন অনেকে। কয়েক দিনের ঠান্ডায় কাবু হয়ে যাওয়া মানুষের অনেকেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে রোদ পোহাতে দেখা যায়। সড়কে বেড়ে যায় যান চলাচল। জেলার কর্ম ও শ্রমজীবীরাও কাজে ফিরতে শুরু করেছেন।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, সকালে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া ডিমলা আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত কয়েক দিনে মৃদু শৈত্যপ্রবাহে কেঁপেছে এ অঞ্চলের মানুষ। শীতের তীব্রতার সঙ্গে ঘন কুয়াশা আর ঠান্ডা হাওয়ায় কাহিল অবস্থা হয়ে গিয়েছিল খেটে খাওয়া মানুষের। শীতের প্রকোপে জনজীবন একেবারেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছিল। সূর্য ওঠায় ঘর থেকে বেরিয়ে কাজে নেমে পড়েছেন সবাই। সমান তালে ফিরেছে কর্মব্যস্ততা।
সদরের পলাশবাড়ী এলাকার মমিনুর রহমান বলেন, “ঠান্ডায় হামার মতো গরিব মানুষক কী কষ্টটা না করনু কয়দিন। মানুষের কষ্ট, পশু-পাখির কষ্ট। আল্লাহর রহমতে রোদ উঠায় বাঁচিনু বাহে। এজন্য আল্লাহর শুকরিয়া।’
জেলা সদরের টুপামারী ইউনিয়নের রামগঞ্জ এলাকার কথা হয় চায়ের দোকানদার হারুনের সঙ্গে। তিনি বলেন, “কয়েক দিন ধরে রোদ ওঠে না। ঠান্ডার কারণে রাস্তায় মানুষের চলাচল কমে গেছে। তবে আজ নীলফামারীর আকাশে সূর্য দেখে মনে হচ্ছে এই দুর্দশা খুব দ্রুত কেটে যাবে।”
সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম জানান, গত ১০ দিনে এই জনপদে তীব্র শীত, ঘন কুয়াশা ও সেইসঙ্গে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। সকাল ও রাতে বিমান চলাচলে শিডিউল বিপর্যয় ঘটে। এই কয়দিনে ৯ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :