• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

প্রথমবারের মতো ভোট দেবে মানতা জনগোষ্ঠী


পটুয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৬, ২০২৪, ০৬:০৭ পিএম
প্রথমবারের মতো ভোট দেবে মানতা জনগোষ্ঠী
প্রথমবারের মতো ভোট দেবেন মানতা জনগোষ্ঠীর মানুষ। ছবি প্রতিনিধি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথম বারের মতো ভোট দেবেন পটুয়াখালীর ছিন্নমূল মানতা সম্প্রদায়। মুজিব জন্ম শতবর্ষের ঘরের পাশাপাশি নাগরিক অধিকার পেয়ে খুশি এ সম্প্রদায়ের মানুষ।

নৌকায় জন্ম, নৌকায় মৃত্যু, নৌকায় বসবাস—নিজ দেশ যেন মানতা সম্প্রদায়ের পরবাস। রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের স্লুইস ঘাট এলাকায় খালে নৌকায় বসবাস করে ছিন্নমূল এ জনগোষ্ঠী। নদী ও সাগর মোহনায় মাছ ধরে তা বিক্রি করাই এদের মূল পেশা।  আজ এ ঘাটে, তো কাল অন্য ঘাটে, জোয়ার ভাটার ছন্দে চলে তাদের জীবন। ভিটেমাটি হীন এই জনগোষ্ঠী জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক হলেও কোনো স্থায়ী ঠিকানা না থাকায় এতদিন ছিল সকল ধরনের নাগরিক সুবিধা বঞ্চিত। জাতীয় পরিচয়পত্র ছিল না তাদের। মুজিব জন্মশতবর্ষে ঘরের পাশাপাশি তারা পেয়েছেন নাগরিক অধিকারও। তাই জীবনে প্রথমবার সংসদ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন তারা।

মানতা নারী শেফালি বেগম বলেন, “নতুন ভোটার হইছি, ৭ তারিখ ভোট দিমু। আমার খুব ভালো লাগতে আছে। এতদিন গাঙ্গে আছেলাম, ভোট কী জিনিস, জাতীয় পরিচয়পত্র কী হেয়া এতদিন বুঝি নাই। এহন প্রধানমন্ত্রী আমাগো ঘর দেছে পরিচয়পত্র হইছে আমরা ভোট দিমু।”

হাসিনা বেগম বলেন, “পানি আর নৌকায় আমাগো জীবন ছিল অনেক কষ্টের। কোনো সুযোগ সুবিধা পাইতাম না। এহন আমাগো একটা ঠিকানা হইছে, সরকারের সব সুবিধা পাই, এবারতো ভোট দেতেও পারমু অনেক ভালো লাগতাছে।”

রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, মুজিব শতবর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর বদলে দিয়েছে মানতা জনগোষ্ঠীর জীবন। উপজেলায় বসবাসরত ১১০ পরিবারের মধ্যে ৫৯টি পরিবার ঘর পেয়েছে। ইতিমধ্যে ৮০টি পরিবারের সদস্যদের জাতীয় পরিচয়পত্রের আওতায় এনে দেওয়া হচ্ছে সকল সুবিধা। এবারের জাতীয় নির্বাচনে তারা ভোট দিতে পারবেন। এখনও যারা জাতীয় পরিচয়পত্র পাননি এবং ভোটার হতে পারেননি খুব শিগগিরই তাদেরও এর আওতায় আনা হবে।”
 

Link copied!