দুই হত্যা মামলায় ৭ জনের যাবজ্জীবন

বগুড়ায় দুটি হত্যা মামলায় সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে এই দুই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।

আদালত সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২৪ বছর আগে বগুড়ার শিবগঞ্জের বিল হামলা এলাকার একটি চাতালে ১৯৯৮ সালের ২৮ অক্টোবর নৈশপ্রহরী আব্দুল জব্বারকে হত্যা করা হয়। স্থানীয় ওই চাতালে থাকা যন্ত্রপাতি লুটপাট করতে এ ঘটনা সংঘটিত হয়। পরবর্তী সময়ে পুলিশ ওই ঘটনায় ছয়জনকে অভিযুক্ত করে মামলা ও তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

এ ঘটনায় দীর্ঘ ২৪ বছর পর ছয়জনকে যাবজ্জীবন ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত। বুধবার বেলা ১২টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩-এর বিচারক রুবাইয়া ইয়াছমিন এ রায় ঘোষণা করেন।

মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন আফজাল হোসেন তার ভাই জাহিদুল ইসলাম, সাইফুল আলম, গোলজার রহমান, আছমা বেগম ও আলম ফকির। এর মধ্যে আছমা বেগম ও আলম ফকির পলাতক। বাকিরা রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

অপর মামলায় কাহালুর লক্ষ্মীমণ্ডপ গ্রামে ১৯৯৬ সালের ৮ আগস্ট পুকুর নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মজিবর নামের এক কৃষককে মারপিটের পর কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ১৯ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা করা হয়। পুলিশ পরে ১৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এর মধ্যে মামলা চলাকালীন দুইজন মারা যান।

দীর্ঘ ২৬ বছর পর এ মামলায় তসলিম উদ্দিনকে (৭০) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত। অর্থদণ্ড পরিশোধে ব্যর্থ হলে অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয় তসলিমকে। এ ছাড়া মামলার অন্য ১৫ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।

বুধবার দুপুর ১টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জল আদালত-২-এর বিচারক মুহাম্মাদ কামরুল হাসান রায় ঘোষণা করেন। তসলিম কাহালুর লক্ষ্মীমণ্ডপের মৃত তোরাব আলীর ছেলে।

অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট বিনয় কুমার বিশু বলেন, পৃথক দুই মামলায় সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। দীর্ঘ দুই যুগ পর হত্যাকাণ্ড দুটির বিচারকার্য সম্পূর্ণ হয়েছে।