• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

সন্তান হত্যায় সৎ মায়ের ১০ বছরের কারাদণ্ড


লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩, ০৫:০০ পিএম
সন্তান হত্যায় সৎ মায়ের ১০ বছরের কারাদণ্ড

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে তিন বছরের শিশুকে হত্যা করে ঘরেই মরদেহ পুতে রাখার ঘটনায় কহিনুর বেগম নামের এক নারীকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।

সাজাপ্রাপ্ত কহিনুর বেগম উপজেলার দরবেশপুর ইউনিয়নের উত্তর দরবেশপুর গ্রামের মোবারক হোসেন কুট্টির মেয়ে এবং চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ রায়চৌ গ্রামের মিরন মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী। মিরন মিয়া এ হত্যা মামলার বাদী।

বিষয়টি নিশ্চিত করে লক্ষ্মীপুর জজকোর্টের সরকারি কৌঁসুলি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ক্ষিপ্ত হয়ে কহিনুর শিশু আহমেদকে লাথি মারলে সে মারা যায়। পরে মরদেহ বসতঘরে মাটিতে পুঁতে রাখেন কহিনুর। আদালতে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। মামলার সময় থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন। রায়ের সময়ও তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আদালতের নথি ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মিরন ঢাকায় একটি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে চাকরি করেন। পারিবারিক কলহের জেরে প্রথম স্ত্রী শারমিন আক্তারের সঙ্গে তার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। নিহত শিশু আহমেদ তার প্রথম পক্ষের ছেলে। কিছুদিন পর মিরন রামগঞ্জের কহিনুরকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর শিশু আহমেদসহ দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে তিনি নিজ এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। ২০২২ সালের ২২ জুলাই স্ত্রী-সন্তানকে রেখে ঢাকায় কর্মস্থলে চলে যান মিরন। পরে ১০ আগস্ট আহমেদকে নিয়ে কহিনুর রামগঞ্জের দরবেশপুরে তার বাবার বাড়িতে চলে যান। সেখান থেকে ২৭ আগস্ট কহিনুর তার স্বামীর বাসায় আসেন। এরপর মিরনকে তিনি জানান, আহমেদকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

একইদিন ঢাকা থেকে ফিরে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও ছেলেকে পাননি মিরন। ফলে পরদিন (২৮ আগস্ট) হাজীগঞ্জ থানা-পুলিশকে ঘটনাটি অবহিত করা হয়। এ সময় হাজীগঞ্জ থানা-পুলিশ বাসায় গিয়ে কহিনুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি স্বীকার করেন।

কহিনুর পুলিশকে জানান, পেটে লাথি দিলে আহমেদ মারা যায়। পরে দা দিয়ে খাটের নিচে গর্ত করে তার মরদেহ মাটিতে পুঁতে রাখা হয়। পরে রামগঞ্জ থানা-পুলিশের সহযোগিতায় ২৯ আগস্ট বিকেলে দরবেশপুর গিয়ে কহিনুরের বাবার বাড়ির শোয়ার ঘরে খাটের নিচে পুঁতে রাখা আহমেদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। একইদিন মিরন বাদী হয়ে কহিনুরের বিরুদ্ধে মামলা করেন। একই বছর ৩০ অক্টোবর রামগঞ্জ থানা-পুলিশ আদালতে আসামি কহিনুরের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন।

Link copied!