• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

ফিক্সিংয়ের দায়ে আমিরাতের ক্রিকেটারকে ১৪ বছর নিষেধাজ্ঞা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ১২, ২০২২, ১২:৪৪ পিএম
ফিক্সিংয়ের দায়ে আমিরাতের ক্রিকেটারকে ১৪ বছর নিষেধাজ্ঞা

মেহের ছায়াকর নামে ভারতীয় বংশোদ্ভূত সংযুক্ত আরব আমিরাতের একজন ক্রিকেটারকে  ফিক্সিংয়ের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল আইসিসি। সংস্থাটির দুর্নীতিবিরোধী কোডের সাতটি নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য ১৪ বছরের জন্য সমস্ত ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এই ক্রিকেটারকে। বুধবার (১২ অক্টোবর) আইসিসি এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।

ছায়াকর ২০১৯ সালে দুইবার ফিক্সিং কান্ডে জড়িয়ে পড়েন। জিম্বাবুয়েতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের একদিনের আন্তর্জাতিক সিরিজের পাশাপাশি একই বছরে কানাডায় গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টেও তিনি ফিক্সিংয়ে জড়িত ছিলেন। এই দুই ঘটনায় আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী ট্রাইব্যুনাল দ্বারা দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে তাকে।

আইসিসি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আজমানে ২০১৮ সালে একটি দুর্নীতিগ্রস্ত ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে আমরা প্রথম মেহর ছায়াকারের মুখোমুখি হই। যে অভিযোগের জন্য তিনি এখন দীর্ঘমেয়াদি নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন, এটা আমাদের খেলাধুলাকে দুর্নীতিগ্রস্ত ও ক্ষতি করার জন্য তার অব্যাহত প্রচেষ্টার ফল। যারা ক্রিকেটকে কলুষিত করার চেষ্টা করছে তাদের বাধা দিতে আমরা নিরলস কাজ করব। তাকে ১৪ বছরের নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার মাধ্যমে ট্রাইব্যুনাল আমাদের খেলাকে কলুষিত করতে চায় এমন লোকদের কাছে একটি স্পষ্ট সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে।‍‍`

শাস্তি পাওয়ার পর অবশ্য মেহের তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা বলে দাবি করেন।

ভারতে জন্মগ্রহণ করলেও ছায়াকর আমিরাতে বেড়ে ওঠেন। তার প্রতি আরও অভিযোগ ছিল তিনি আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটের সাথে সহযোগিতা করতে অস্বীকার করেন। এমনকি, অনুসন্ধান কাজেও বাধা দেন।

শুধু ছায়াকর নয়, দুর্নীতিবিরোধী কোড লঙ্ঘনের অভিযোগে সাবেক সংযুক্ত আরব আমিরাতের অধিনায়ক মোহাম্মদ নাভিদ এবং ব্যাটার শাইমান আনোয়ার বাটকে ২০২১ সালের মার্চ মাসে আট বছরের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। কাদির আহমেদকে পরের মাসে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। দলের উইকেটরক্ষক কাম ব্যাটার গুলাম শাব্বিরকেও চার বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে একই বছর। 
 

Link copied!