বাংলাদেশের সঙ্গে একটা অন্যরকম স্মৃতি রয়েছে গাই হুইটালের। বাংলাদেশ টেস্ট স্ট্যাটাস লাভের মাত্র কয়েক মাস পর ২০০১ সালের এপ্রিলে প্রথম সফরে যায় জিম্বাবুয়েতে। সেখানে দুই টেস্টের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয় বাংলাদেশ। প্রথম টেস্টে হুইটাল সেঞ্চুরি করেন। আর দ্বিতীয় টেস্টে দুটি হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ম্যাচসেরা হন। সেই হুইটাল এবার চিতাবাঘের আক্রমণে আহত হয়েছেন।
হুইটালের মাথায় ও হাতে আক্রমণ করেছে হিংস্র প্রাণীটি। এতে মারাত্মকভাবে আহত হওয়ার পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তার প্রাণ বাঁচাতে সঙ্গের কুকুরটিও আহত হয়েছে।
হুইটালকে সারিয়ে তুলতে তার মাথায় ও হাতে অস্ত্রপচার করা হয়েছে। তবে ৫১ বছর বয়সী সাবেক এই ক্রিকেটার এখন বিপদমুক্ত বলে জানা গেছে।
জিম্বাবুয়ের হয়ে ১৯৯৩-২০০৩ সাল পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের হয়ে খেলেছেন হুইটাল। জাতীয় দলের জার্সিতে ৪৬ টেস্ট ও ১৪৭টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন তিনি।
হুইটালের আহত হওয়ার খবর জানিয়েছেন তার স্ত্রী হান্না হুইটাল। এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এই তথ্য জানান তিনি। আহত হওয়ার পর চিকিৎসার জন্য বিমানে করে রাজধানী হারারেতে আসার কথা জানিয়েছেন হান্না।
এরআগে, ২০১৩ সালে এক সকালে ঘুম থেকে উঠে হুইটাল দেখেন তার বিছানার নীচে মেঝেতে ৮ ফুট লম্বা একটি কুমির শুয়ে আছে। সারারাত একই রুমে হুইটালের সঙ্গে ছিল কুমিরটি। যদিও তার কোনো ক্ষতি করেনি কুমিরটি। এবার দ্বিতীয়বারের মতো নিশ্চিত প্রাণে বেঁচে গেলেন সাবেক এই তারকা ক্রিকেটার।
হুইটালের এই ঘটনায় নিশ্চয়ই তার সঙ্গে মাঠের লড়াইয়ে অংশ নেওয়া বাংলাদেশের সাবেক তারকা জাভেদ ওমর, আমিনুল ইসলাম বুলবুল, মেহরাব হোসেন অপি, হাবিবুল বাশার সুমন, আকরাম খান, নাইমুর রহমান দূর্জয়, এনামুল হকরা কিছুটা হলেও কষ্ট পাবেন।
আপনার মতামত লিখুন :