দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে সেশেলসের বিপক্ষে ১-০ গোলের ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ। পূর্ব আফ্রিকার দলটি র্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে থাকলেও জয়টা মোটেও সহজে আসেনি স্বাগতিকদের জন্য।
ব্যবধান যাই হোক বছরের আন্তর্জাতিক ম্যাচ জিতে সন্তষ্ট জাতীয় দলের ফুটবল কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। এমনকি এই জয় নিয়ে গর্ব করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
হাভিয়ের বলেন, “কঠিন ম্যাচ ছিল। এটা কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ জয়। আমাদের মূল লক্ষ্যই ছিল ম্যাচ জেতা। গতকাল বলেছিলামও। এই জয়ে গর্ব করা উচিত। তবে এখন উদযাপনের সময় নেই। পরের ম্যাচে জয়ের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।”
ম্যাচের শুরু থেকে দাপট দেখালেও গোলের দেখা পাচ্ছিল না বাংলাদেশ। ৪২তম মিনিটে দুর্দান্ত হেডে জয়সূচক গোলটি করেন তারিক কাজী। তবে দ্বিতীয়ার্ধে বল দখলের লড়াইয়ে বাংলাদেশকে টেক্কা দিয়েছে সেশেলস। ম্যাচ শেষে সেটাই উঠে এসেছে হাভিয়ের কথায়।
তিনি বলেন, “প্রথমার্ধের ২০-২৫ মিনিট আমরা খুবই ভালো খেলেছি। বিরতির আগে গোল পেয়েছি। দ্বিতীয়ার্ধে বল পজিশন ধরে রাখতে গিয়ে ভুগেছি। খুবই কঠিন ছিল। আমরা জানি সেশেলস প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দল। দেখতে হবে, দ্বিতীয়ার্ধে কী ভুল করেছি এবং কীভাবে পরের ম্যাচে শক্তিশালী হয়ে ফেরা যায়।”
বেশ দীর্ঘদিন ধরে গোলখরায় ভুগছেন ফরোয়ার্ডরা। তবে এটা নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নন জাতীয়দ দলের ফুটবলার তপু বর্মন। তার মতে, অলআউট ফুটবলে কে গোল করলো এটা বড় ব্যাপার না।
তপু বলেন, “অলআউট ফুটবলে কে গোল করলো এটা বড় ব্যাপার না। যে সুযোগ পাবে সেই গোল করবে। ভালো সুযোগ পেলে যে কেউ গোল করবে। বর্তমান ফুটবলে ডিফেন্ডাররা কেবল ডিফেন্ডই করতে পারে না, পাশাপাশি আক্রমণও করে।”
আপনার মতামত লিখুন :