অস্ট্রেলিয়ার মাঠে ইংল্যান্ড-ভারত-নিউজিল্যান্ড কিংবা অন্যদের খেলার বিষয়টি নৈমত্তিক ঘটনা। তবে র্যাঙ্কিংয়ের নিচের দিকে থাকা দেশগুলোর জন্য অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কিংবা সেদেশে সফর করা প্রায় স্বপ্নের মতো বিষয়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বদৌলতে এবার প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে খেলার সুযোগ পাচ্ছে অনেকগুলো দেশ।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া ১৬ দেশের মধ্যে ৬ দেশ প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ায় খেলার সুযোগ পাচ্ছে। এর মধ্যে দুই-তিনটি দেশ অন্য ফরম্যাটে খেলার সুযোগ পেলেও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে খেলেনি দলগুলো।
বিশ্বকাপ শুরুর দিনে বড় ‘অঘটন’-এর জন্ম দিয়েছে নেদারল্যান্ডস। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিশন শুরু করা ডাচদের অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এটাই ছিল প্রথম ম্যাচ। ওয়ানডে ফরম্যাটেও কখনও দেশটিতে খেলার সুযোগ পায়নি ডাচরা।
এছাড়াও নামিবিয়াও তাদের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে খেলেছে। তাদের সঙ্গী স্কটল্যান্ডও। তারা এর আগে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ওয়ানডে ফরম্যাটে খেলার সুযোগ পেয়েছিল।
অস্ট্রেলিয়ায় প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জিম্বাবুয়ে। দল তিনটি এর আগে ভিন্ন ফরম্যাটে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে খেলেছিল।
বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ওয়ানডে ও টেস্ট ফরম্যাটে খেললেও টি-টোয়েন্টিতে কখনই খেলেনি। সংযুক্ত আরব আমিরাত ২০১৫ অস্ট্রেলিয়ায় হওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপে দেশটিতে প্রথমবারের মতো খেলার সুযোগ পেয়েছিল। আর দিন কয়েক আগেই অস্ট্রেলিয়ায় প্রথমবারের মতো খেলেছিল জিম্বাবুয়ে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওই সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হেরেছিল জিম্বাবুয়ে।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দেশটিতে কোনো ম্যাচ খেলার সুযোগ না পাওয়া আয়ারল্যান্ড পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছিল।
আপনার মতামত লিখুন :