পনের বছর আগে টেস্ট ম্যাচে রানের ব্যবধানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় হারের ঘটনাটা ছিল লঙ্কানদের বিপক্ষেই। ২০০৯ সালে চট্টগ্রামে ৪৬৫ রানে তাদের বিপক্ষেই হারতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। এবার সেই লঙ্কানদের বিপক্ষে ফের রেকর্ড ব্যবধান ৩২৮ রানে হারতে হয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তদের। রানের দিক থেকে বাংলাদেশ নিজেদের টেস্ট ইতিহাসের ষষ্ঠ সর্বোচ্চ ব্যবধানে পরাজয় দেখলো সিলেটে।
লঙ্কানদের ছুঁড়ে দেওয়া ৫১১ রানের পাহাড়সম লক্ষ্যের সামনে টাইগারদের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হলো ১৮২ রানে। এরআগে প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কা ২৮০ এবং বাংলাদেশ ১৮৮ রান করে।
সিলেটে রোববারের ৪৭ রানে ৫ উইকেট নিয়ে সোমবার চতুর্থ দিনে বাংলাদেশ লড়েছে লাঞ্চের কিছুটা বেশি সময়। একপ্রান্তে মুমিনুল হক টিকে থেকে দেখেছেন বাকিদের আসা যাওয়া। হার অনুমিতই ছিল। তবে মেহেদি হাসান মিরাজ আর শরিফুল ইসলামের কল্যাণে সেটা খানিক দেরিতেই এসেছে।
দিনের শুরুতেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তাইজুল ইসলাম। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোরার এবার বেশি রান পেলেন না। ৬ রান করে কাসুন রাজিথার বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তিনি।
৫১ রানে ৬ উইকেট পতনের পর অনেকটা সময় মুমিনুলকে সঙ্গ দেন মিরাজ। ১০৫ বলে তাদের ৬৬ রানের জুটিতে কিছুটা আক্রমণাত্মক হতে চেয়েছিলেন মিরাজ। সেটাই কাল হলো তার জন্য। রাজিথার দিনের দ্বিতীয় শিকার হলেন স্লিপে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার হাতে ক্যাচ দিয়ে। এরপর শরিফুল এসে মুমিনুলকে নিয়ে দলের স্কোরবোর্ডে যোগ করেছেন আরও ৪৭ রান। নিজে করেছেন ১২ রান। তবে ৪১ বল খেলার পর ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙে তার। স্ট্রেইট ড্রাইভ করতে গিয়ে রাজিথার বলে কট এন্ড বোল্ড জন তিনি। পরের বলেই ফিরে যান খালেদও।
শেষ ব্যাটার হিসেবে নাহিদ রানা ফিরেছেন ডাক মেরে। লাহিরু কুমারার বাউন্সারে পরাস্ত হন তিনি। ৮৭ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন সাবেক অধিনায়ক মুমিনুল।
আপনার মতামত লিখুন :