একটা টিম কেন চূড়ান্ত সাফল্য পায়? ভারসাম্য, পরিকল্পনা ও ম্যাচ উইনার এই তিনটা জিনিসের মিশেল যদি ঠিকঠাক থাকে, তা হলেই সাফল্য আসবে। ইতিহাস ঘাটলে এমন উদাহরণ পাওয়া যাবে অনেক। ওয়েস্ট ইন্ডিজ, অস্ট্রেলিয়া থেকে শুরু করে ভারত, পাকিস্তান সব টিমেরই সাফল্যের গভীরে লুকিয়ে ছিল এই তিনটা বিষয়। একটা টিমের যদি ভারসাম্য ঠিকঠাক থাকে, বিপক্ষের জন্য যথাযথ পরিকল্পনা তৈরি রাখা যায়, ম্যাচ উইনাররা কঠিন সময়ে ভাল পারফর্ম করেন, তা হলেই জয়ের দরজা খুলে ফেলা যায় খুব সহজে। সঙ্গে ব্যাট-বোলিং ও ফিল্ডিংয়েও দিতে হবে নিজেদের সেরাটা। এসব কম্বিনেশন মিলে গেলে জয় আসবে নিশ্চিত।
পাল্লেকেল্লেতে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও বললেন অল রাউন্ড পারফরমেন্স করেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ জিততে চান তারা। বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ”চারটা জায়গাতে যদি আমরা ভালো খেলি, তখন আমাদের ভালোভাবে জেতার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। আমরা সেটাই করার চেষ্টা করব, অলরাউন্ড ক্রিকেট খেলতে চাই। এমনটা না যে শুধু পেস বোলাররা আমাদের জিতিয়ে দেবে কিংবা শুধু ব্যাটাররা জিতিয়ে দেবে, এটা নয়। আমরা চাই সবদিক থেকে ওদের চেয়ে ভালো খেলে জিতব।”
ইনজুরিতে জর্জরিত শ্রীলঙ্কা দল। দলের ব্যাটিং লাইনআপটা মোটামুটি থাকলেও বোলিং অ্যাটাকটা অনেকটাই দুর্বল তাদের। ইনজুরিতে ছিটকে গেছেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, দুশমান্থ চামিরা, লাহিরু মাধুশঙ্কা ও লাহিরু কুমারা। তবে, সাকিব লঙ্কান বোলিং অ্যাটাককে দুর্বল মনে করছেন না।
টাইগার অধিনায়ক বলেন,“ অভিজ্ঞতার দিক থেকে অবশ্যই আমরা কিছু দিকে এগিয়ে। কিন্তু আমি যেটা বললাম শ্রীলঙ্কার কন্ডিশনে যারা খেলছে ওরা মাত্র এলপিএল থেকে খেলে এসেছে। সেখানে যারা পারফর্ম করেছে তারাই এসেছে দলে। আসলে কাউকেই ছোট করার কিছু নেই। ওরাও মুখিয়ে থাকবে ভালো পারফর্ম করার জন্য। আমাদের বোলারদের যেহেতু অভিজ্ঞতা আছে সেটা হয়তো আমরা কাজে লাগাতে পারব। তার মানে এই না কালকের ম্যাচে এটা খুব একটা প্রভাব পড়বে দলের ক্ষেত্রে।”
দুই দলের সামর্থ্য সম্পর্কে টাইগার অধিনায়কের মন্তব্য, “আমার মনে হয় দুদলই সেইম অবস্থায় আছে। যারা ভালো খেলবে, তারাই জিতবে। স্ট্রেংথ-উইকনেসও উভয় দলেরই একই। তবে আমাদের ব্যাকআপ প্লেয়ার এবং নতুন যারা আছে এটা তাদের ভালো করার একটা সুযোগ। পিচ কেমন হতে পারে এখনও বলা যাচ্ছে না, মাঠে নামলে বোঝা যাবে যে কতটা ডিফেন্ড কিংবা চেজ করা যাবে।”
প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটিং পজিশনটা কেমন হবে, এমন প্রশ্নে সাকিব বলছিলেন, “এখন আসলে যদি পরিকল্পনা থাকে সেটা আপনাকে বলতে পারব না। এই হচ্ছে কথা। অবশ্য আমাদের কিছু পরিকল্পনা আছে, আমাদের ব্যাকআপ ক্রিকেটার যারা আছে তাদেরকে দেখার একটি সুযোগ। নতুন যারা আসবে তাদের জন্য ভালো কিছু করার একটা সুযোগ থাকবে।”
এশিয়া কাপ শেষেই অক্টোবরে ভারতের মাটিতে গড়াবে বিশ্বকাপের আসর। আর বিশ্বকাপের আত্মবিশ্বাস এই এশিয়া কাপ থেকেই নিতে চান অলরাউন্ডার সাকিব। সাকিব বলেন,“এ আসরে ভালো করলে বিশ্বকাপে ভালো করার আত্মবিশ্বাস পাওয়া যাবে। শেষ কয়েকটা এশিয়া কাপে ফাইনাল খেলছি, আমরা ধারাবাহিক। তাই এবার আশা ভালো করার।”
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) বাংলাদেশ সময় সাড়ে ৩টায় স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলতে নামবে বাংলাদেশ।