পিএসজিতে নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপ্পের দ্বন্দ্ব শোনা যাচ্ছিল অনেক দিন ধরেই। শঙ্কা ছিল মাঠে হয়তো তার প্রতিফলন দেখা যাবে। কিন্তু সকল গুঞ্জনের অবসান ঘটিয়ে দারুণ বোঝাপড়াই দেখা গেল চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রথম ম্যাচে। এমবাপ্পের জোড়া গোলে জুভেন্টাসকে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে শুভ সূচনা করল প্যারিসের দলটি।
লিগ ওয়ানে বর্তমান শিরোপাধারী পিএসজি বেশ দারুণ ফর্মে আছে। পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে তারা। চ্যাম্পিয়নস লিগেও সেই ধারাবাহিকতার ছাপ রেখেছে।
মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের `এইচ` গ্রুপের ম্যাচে নিজেদের মাঠেই জুভেন্টাদের মুখোমুখি হয়েছিল পিএসজি। ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে তারা। মাত্র ৫ মিনিটেই এমবাপ্পের গোলে এগিয়ে যায় দলটি। নেইমারকে পাস দিয়ে নিজে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন ফরাসি তারকা। প্রতিপক্ষের দুজন খেলোয়াড়কে পাশ কাটিয়ে ফিরতি পাস দেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। ডি-বক্সে কোনাকুনি শটে প্রতিপক্ষের গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ২৩ বছর বয়সী ফ্রেঞ্চ খেলোয়াড়।
পিছিয়ে পড়ে আক্রমণের ধার বাড়ায় জুভেন্টাস। ম্যাচের ১৯ মিনিটে তাদের জোরালো শট ক্ষিপ্রতায় ফিরিয়ে দেন পিএসজি গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা। এর তিন মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এমবাপ্পে। আশরাফ হাকিমির ফিরতি পাসে এবারও কোনাকুনি শটে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোল আদায় করেন।
প্রথমার্ধে দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান কমানোর জন্য বেশ মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে জুভেন্টাস। ম্যাচের ৫৩ মিনিটে মিডফিল্ডার ফিলিপ কসতিচের পাসে ওয়েস্টন ম্যাককেনি হেডে গোল করে ব্যবধান কমান। গোল আদায় করেই জুভেন্টাস উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। ব্যবধান কমানোর পরে পরপর দুইটি গোল করার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েও হাতছাড়া হয় তাদের।
ম্যাচের ৬৩ মিনিটে হ্যাটট্রিকের সুযগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি এমবাপ্পে। লিওনেল মেসির পাসে গোল করার সুযোগ থাকলেও লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলেই নিশ্চিত হয় ম্যাচের ভাগ্য।