বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে ৯৯ রানে হারিয়ে টুর্নামেন্টের টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। কিউইদের দেওয়া ৩২৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নেদারল্যান্ডস থামে ৪৬ ওভার ৩ বলে ২২৩ রানে। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে তিন হাফসেঞ্চুরিতে ব্ল্যাকক্যাপসরা তোলে নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেটে ৩২২ রান।
হায়দরাবাদে নিউজিল্যান্ডের হয়ে শুরুটা করেন উইল ইয়াং ও ডেভন কনওয়ে। তবে শুরুটা ভালো হয়নি তাদের। প্রথম তিন ওভারে কিউই এই দুই ওপেনার নিতে পারেননি কোনো রান। অর্থাৎ তিন ওভারে ব্ল্যাকক্যাপরা তোলে শূন্য রান। তবে এরপর খোলস ছেড়ে বের হয়ে আসে ব্ল্যাকক্যাপস ব্যাটাররা। চতুর্থ ওভারে রায়ান ক্লাইনের প্রথম বলে বাউন্ডারি দিয়ে রানের খাতা খোলেন ইয়াং। এরপর পঞ্চম বলে আবার চার মারেন এই ব্যাটার। ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে প্রথম তিন ওভার মেডেন দেওয়ার পর পরের ৭ ওভারে এই দুই ওপেনার তোলেন ৬৩ রান।
দারুণ খেলতে থাকা এই জুটি ভাঙে দলীয় ৬৭ রানের সময়। ৩২ রান করা কনওয়েকে ফেরান ফন ডার মারওয়ে। এরপর আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান রাচিন রবীন্দ্র’র সঙ্গে ৮৪ বলে ৭৭ রানের জুটি গড়ে ফেরেন ওপেনার উইল ইয়াং। দলীয় ১৪৪ রানে সাজঘরে ফেরার আগে ৮০ বলে ৭টি চার আর ২টি ছক্কার সাহায্যে ৭০ রান করে ফেরেন ইয়াং।
এরপর তৃতীয় উইকেটে ড্যারেল মিচেলকে সঙ্গে নিয়ে ৩৮ বলে ৪১ রানের জুটি গড়ে ফেরেন আগের ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১২৩ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলা রাচিন রবীন্দ্র। এদিন তিনি ৫১ বলে তিন চার আর এক ছক্কায় ৫১ রান করে ফেরেন। দলীয় রান তখন ৩২ ওভার ২ বলে ১৮৫ রান।
তার বিদায়ের পর শেষ ১০৬ বলে কিউইরা তোলে ১৩৭ রান। যেখানে বড় অবদান গ্লেন ফিলিপসের ৪৮-টম লাথামের ৫৩ ও মিচেল স্যান্টনারের ৩৬ রান। তাদের এই ইনিংসের সুবাদে টম লাথামের দল পায় ৩২২ রানের পুঁজি। নেদারল্যান্ডসের হয়ে পল ফন মিকেরন-ফন ডার মারওয়ে ও আরিয়ান দত্ত নেন দুইটি করে উইকেট।
বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে নেদারল্যান্ডস। ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে ১০ ওভারে ৩৫ রান তোলে দলটি। হারায় ১২ রান করা বিক্রম সিংয়ের উইকেট। ব্ক্রিম যখন আউট হয় দলটির স্কোর তখন ২১।
এরপর আর ২২ রান যোগ করতেই বিদায় নেই আরেক ওপেনার ম্যাক্স ও’ডাউড। তিনি ফেরেন ১৬ রান করে। এরপর কলিন অ্যাকারম্যানের সঙ্গে সেভাবে সাপোর্ট দিতে পারেননি বাস ডি লিডি। দলীয় ৬৭ রানের সময় ১৮ রান করা লিডিকে ফেরান রাচিন রাবীন্দ্রা।
এরপর অ্যাকারম্যানের সঙ্গে দুইটা বড় জুটি গড়েন তেজা নিদামানুরু ও স্কট এডওয়ার্ডস। তেজার সঙ্গে অ্যাকারম্যানের জুটি পুরোপুরি ৫০ রানের। এই জুটি ভাঙে ২১ রান করা নিদামানুরুর বিদায়ে। আর এডওয়ার্ডেসের সঙ্গে অক্যারম্যনের জুটি ৪০ রানের। এই জুটি ভাঙ্গে অ্যারম্যানের বিদায়ে। দলীয় ১৫৭ রানের সময় ৫ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হবার আগে অ্যাকারম্যান হাফসেঞ্চুরি করেন। খেলেন দলীয় সর্বোচ্চ ৬৯ রানের ইনিংস।
তার বিদায়ের কিছুপরিই আউট হয়ে যান ডাচ অধিনায়ক এডওয়ার্ডস। তিনি বিদায় নেন ৩০ রান করে। তোকে ফেরান মিচেল স্যান্টনার। দলীয় রান ১৭৪ রান। এরপর আর ডাচ ব্যাটসম্যানরা ব্ল্যাকক্যাপসদের বোলারদের সামনে সেভাবে প্রতিরোধ গড়তে পারেনি। শুধু কমিয়েছে রানের ব্যবধানটা। তাদের থামতে হয়েছে ২২৩ রানে। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ১০ ওভারে ৫৯ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নেন মিচেল স্যান্টনার।