• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

পাকিস্তানকে ২৮৬ রানে আটকে দিয়েছে নেদারল্যান্ডস


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২৩, ০৬:১৯ পিএম
পাকিস্তানকে ২৮৬ রানে আটকে দিয়েছে নেদারল্যান্ডস
ছবি: সংগৃহীত

ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসরের দ্বিতীয় দিন আজ। পাকিস্তান তাদের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় নেদারল্যান্ডসের। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ডাচদের সামনে বড় সংগ্রহ রাখতে ব্যর্থ হয়েছে ৯২’র চ্যাম্পিয়নরা। তবে দলের ভঙুর পরিস্থিতিতে হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সৌদ শাকিল। ম্যাচ জিততে নেদারল্যান্ডসের প্রয়োজন ২৮৭ রান।

হায়দরাবাদে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে পাওয়ার প্লেতে পাকিস্তান ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে মাত্র ৪৩ রানে।

ম্যাচের চতুর্থ ওভারেই পাকিস্তান শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন ডাচ বোলার লোগান ফন বিক। তাকে রিটার্ন ক্যাচ দিয়ে বসেন পাকিস্তানি ওপেনার ফাখর জামান। ১৫ বলে ১২ রান করে আউট হন তিনি। দলীয় রান ছিল তখন ১৫।

এরপর বাবর আজম এবং ইমাম-উল হক জুটি বাধেন। কিন্তু সেটা মাত্র ১৯ রানের। ১৮ বলে ৫ রান করে পল অ্যাকারম্যানের বলে সাকিব জুলফিকারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বাবর। দলের রান ছিল এ সময় ৩৪।

৩৮ রানের মাথায় আউট হয়ে যান ইমাম-উল হকও। ১৯ বলে ১৫ রান করেন তিনি। পল ফন মিকেরেনের বলে আরিয়ান দত্তের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ইমাম-উল হক।

তিন টপ অর্ডার ব্যাটারকে হারিয়ে রীতিমত ধুঁকতে থাকা পাকিস্তান দলের এরপর হাল ধরেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সৌদ শাকিল। ৩২ বলে ৭ চার ও ১ ছয়ে ৫০ রান করেন সৌদ। হাফ সেঞ্চুরি করতে একটু বেশি বল খেলেছেন রিজওয়ান, ৫৮ বলে ৬ চারের সাহায্যে। দুজনের জুটি ১২০ রানে পৌঁছে ভেঙে যায়। আরিয়ান দত্তের বলে সৌদ ক্যাচ দেন সাকিব জুলফিকারকে। ৫২ বলে ৬৮ রান করেন তিনি।

সৌদের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি রিজওয়ানও। বাস ডি লিডের কাছে বোল্ড হন তিনি ৬৮ রান করে। একই ওভারে ডি লিড ফেরান ৯ রান করা ইফতিখার আহমেদকে ।

 ১৮৮ রানে ৬ উইকেট হারানো পাকিস্তান আবার প্রতিরোধ গড়ে মোহাম্মদ নওয়াজ ও শাদাব খানের জুটিতে। ৪৪তম ওভারে ৬৪ রানের এই জুটি ভেঙে দেন ডি লিড। পরপর দুই ব্যাটারকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগান ডাচ বোলার। ব্যক্তিগত ৩২ রানের সময় শাদাবকে বোল্ড করার পর নতুন ব্যাটার হাসান আলীকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন ডি লিড। শাহীন শাহ আফ্রিদি ডিফেন্সিভ শটে তাকে আশাহত করেন।

৪৭তম ওভারে নওয়াজ ৩৯ রানে আউট হন। শেষ দিকে আফ্রিদি ও হারিস রউফের ব্যাটে তিনশ রান সংগ্রহের আভাস দেয়। পারেননি তারা। ৪৯তম ওভারের শেষ বলে স্টাম্পিং হন ১৬ রান করা হারিস । ১৩ রানে অপরাজিত ছিলেন আফ্রিদি। ৯ ওভারে ডি লিড ৬২ রান দিয়ে চার উইকেট নিয়ে সেরা ডাচ বোলার। দুটি উইকেট পান কলিন অ্যাকারম্যান।

Link copied!