• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বিশ্বকাপের অংশ হতে পেরে রোমাঞ্চিত অভিবাসী শ্রমিকরা


সৌরভ কুমার দাস
প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২২, ০২:৫৪ পিএম
বিশ্বকাপের অংশ হতে পেরে রোমাঞ্চিত অভিবাসী শ্রমিকরা

বর্ণিল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর কাতারে পর্দা উঠেছে ২২তম বিশ্বকাপের। যদিও প্রথম স্বাগতিক দেশ হিসেবে ইকুয়েডরের বিপক্ষে হারের স্বাদ পেয়েছে তারা। তবে নানা সমালোচনা পিছনে ফেলে দারুণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করে পুরো বিশ্বের প্রশংসা ঠিকই আদায় করেছে মধ্যেপ্রাচ্যের এই দেশটি।

পুরো কাতার জুড়ে বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে একাধিক ফ্যানজোন তৈরি করা হয়েছে। যারা মাঠে যেয়ে খেলা দেখতে পারছে না তারা এখানে বসেই উপভোগ করছেন বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপ আয়োজন করতে গিয়ে পুরো কাতারের চেহারাই পাল্টে ফেলতে হয়েছে।

হাজার হাজার নতুন অবকাঠামো নির্মান করতে হয়েছে। নতুন করে রাস্তা, বিভিন্ন মেট্রো রেল স্টেশন বানাতে হয়েছে। তবে মাত্র ২.৮ মিলিয়ন লোকের দেশে এত বড় আসর আয়োজন করা যথেষ্ট কঠিন ছিল। তাই পর্যাপ্ত লোকবলের অভাব পড়েছিল স্বাভাবিকভাবেই।

ফলে বিশ্বের নানাপ্রান্ত, বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার একাধিক দেশ থেকে লক্ষ্যাধিক শ্রমিক নিয়োগ দিয়েছে কাতার। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান শ্রীলঙ্কা থেকে শ্রমিকরা গিয়ে বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মানের অংশ হয়েছেন।

তাদের কঠোর পরিশ্রমেই কাতার এরক্ম একটি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে সক্ষম হচ্ছে। আসরের প্রথম দিনে ফ্যানজোনগুলোতে দেখা গিয়েছে সেইসব অভিবাসী শ্রমিকদের। তাদের কেউ হয়তো অফিস শেষ করে এসেছেন, কেউ বা ছুটি নিয়েছেন, আবার অন্য কারও হয়তো এদিন সাপ্তাহিক ছুটি ছিল।

এতদিনের এত হাড়ভাঙা পরিশ্রমের পর এই আয়োজন দেখে রীতিমতো শিহরিত হচ্ছেন সেইসব শ্রমিকরা। কাতারভিত্তিত সংবাদমাধ্যম আল জাজিজার এক প্রতিবেদনে ৪৫ বছর বয়সী বাংলাদেশী শ্রমিক মুহাম্মদ হোসাইন জানান, তিনি একদম সবার মাঝখানে বসেই এ আসর উপভোগ করেছেন এবং প্রতিটি মুহূর্তে রোমাঞ্চ তাকে ছুঁয়ে গেছে। বিশ্বকাপের কাজ শেষে সেখানে নতুন কোম্পানিতে জেনারেটর অপারেটর হিসেবে কাজ করছেন।

পিটার নামের ভারতীয় আরেকজন শ্রমিক ১৫ বছর ধরে কাতারে বসবার করছেন। তিনি দাবি করেন, বিশ্বকাপ না হলে কাতারের চেহারা আগের মতো থাকতো। তিনি বলেন, কাতারে কোনো মেট্রো বা রাস্তার কোনো বাস ছিল না। এখন যতগুলো বড় বড় ভবন, হায়ওঁয়ে রাস্তা এগুলোর কিছুই হতো না যদি বিশ্বকাপ না হতো।

বিশ্বকাপ আয়োজনে অভিবাসী শ্রমিকদের প্রত্যক্ষ ভূমিকা রয়েছে। পিটার এত বড় ফুটবল মহাযজ্ঞের অংশ হতে পেরে নিজেদের( অভিবাসী) খুবই গর্বিত মনে করছেন।

একাধিক অভিবাসী শ্রমিক জানান, উদ্বোধনী ম্যাচে তারা কাতারকেই সমর্থন করেছেন। যদিও কাতার ম্যাচ জিততে পারেনি। তবে স্বাগতিকরা জিতলে সারারাত রাস্তা জুড়ে আনন্দ মিছিলের পরিকল্পনা ছিল বলেও জানান তারা।

Link copied!