বাফুফে ও বিতর্ক যেন ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না এই ফেডারেশনটির। এবার সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন পড়েছেন বিতর্কের মুখে। সাংবাদিকদের বাবা-মা তুলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। অবশ্য এই ঘটনায় ক্ষমাও চেয়েছেন। তবে এই ঘটনায় দেশের সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন ‘বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)’ সালাউদ্দিনের পদত্যাগ দাবি করেছে।
গত মঙ্গলবার ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
ঘটনার সূত্রপাত সংবাদ সম্মেলনের আগে। সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালের আগে সালাউদ্দিন একান্তে কথা বলেন সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাম মুর্শেদী এবং সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকের সঙ্গে। এ সময় সাংবাদিকদের সাথে থাকা রেকর্ডার চালু ছিল। ফলে সালাউদ্দিনের কথাবার্তাও আর গোপন থাকেনি। বাফুফে সভাপতি তাদের বলছিলেন, বাফুফেতে সাংবাদিক প্রবেশ করতে চাইলে তাদের বাবার ছবি লাগবে!
সালাউদ্দিন তার পাশে থাকা বাফুফে কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, "জার্নালিস্টরা বাফুফে ভবনে ঢুকতে চাইলে তাদের বাপের ছবি লাগবে। এখানে ঢোকার শর্ত হলো বাপের একটা জুতা পরা ছবি পাঠাবে। এটা ম্যান্ডাটরি। আমার তো এখানে বাপের জুতা পরা ছবি থাকবে।"
সালাউদ্দিন হয়তো অবচেতনেও ভাবেননি তার এই বিতর্কিত কথা রেকর্ডারে রেকর্ড হতে পারে। পরে ভিডিও বার্তা পাঠিয়ে ক্ষমা চান তিনি।
ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন, "আমি নাবিলের (কাজী নাবিল আহমেদ) সঙ্গে মজা করছিলাম। আমি সংবাদ দেখেছি। সেখানে সাংবাদিকদের কষ্ট দিয়ে আমি কথা বলেছি। তবে আসলে আমি সাংবাদিকদের কষ্ট দিতে চাইনি। আমি স্রেফ মজা করছিলাম। আমার এই মজা করার ভিডিও কেউ রেকর্ড করবে, সেটা বুঝতে পারিনি।"
তিনি ক্ষমা চাইলেও তার পদত্যাগ দাবি করেছে বিএফইউজে। সংগঠনটির দফতর সম্পাদক স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘"দেশের ফুটবল সংস্থার শীর্ষ পদে থাকা একজনের কাছ থেকে এ ধরনের বক্তব্য মোটেও গ্রহণযোগ্য না। সাংবাদিক ও তাদের পরিবার নিয়ে কটাক্ষ করায় বাফুফে সভাপতির মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে দেশবাসী সন্দিহান হচ্ছে। ফুটবলে নানান সময় দুর্নীতির খবর প্রকাশ করায় সালাউদ্দিন সাংবাদিকদের ওপর ক্ষিপ্ত। দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে বাফুফে। সালাউদ্দিন এই পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন।"
আপনার মতামত লিখুন :