প্রথমার্ধের বেশিরভাগ সময় আধিপাত্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ। তবে গোল আসছিল না। শেষ পর্যন্ত বিরতিতে যাওয়ার আগে জোড়া গোলের লিড পেয়েছে বাংলাদেশ। বৃহপ্সতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে নারীদের অনূর্ধ্ব-২০ সাফ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে নেপালের বিপক্ষে ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ।
ম্যাচের একদম শুরুতেই দারুণ এক সুযোগ হাতছাড়া হয় বাংলাদেশের। দলীয় আক্রমণ প্রতিহত করতে গোলপোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন নেপালি গোলরক্ষক। তবে বিপদ পুরোপুরি মুক্ত করতে পারেননি তিনি।
ফিরতি বলে পেয়ে গিয়েছিলেন বাংলাদেশি ফুটবলার আকলিমা খাতুন। কিন্তু ফাকায় পেলেও গোলপোস্টের উপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন তিনি।
এরপর নেপালের অর্ধেই খেলা হয়েছে বেশি। বাংলাদেশের একের পর এক আক্রমণ সামলাতেই হিমশিম খাচ্ছিল নেপালের রক্ষণভাগ।
ম্যাচের ১৭তম মিনিটে দারুণ এক দলীয় আক্রমণ সাজিয়েছিল বাংলাদেশ। অধিনায়ক শামসুন্নাহারের দারুণ পাস পেয়ে বক্সে ক্রস দিয়েছিলেন রিপা। কিন্তু সেই ক্রসে ঠিকমতো শট নিতে পারেননি। আর তাতে আরও একটি সুযোগ হাতছাড়া হয় স্বাগতিকদের।
একতরফা খেলায় বেশিরভাগ সময়েই দারুণ আক্রমণ সাজালেও মুখ থুবড়ে পড়েছে নেপালের রক্ষণে। বাংলাদেশের আক্রমণ সামলাতে ব্যস্ত নেপালও চেষ্টা করেছে আক্রমণ করার। কিন্তু স্বাগতিকদের রক্ষণভাগের সামনে পরিকল্পিত আক্রমণ করতে পারেনি তারা।
মনে হয়েছিল ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠা নেপাল বাংলাদেশের বেশ পরীক্ষা নেবে। কিন্তু ফাইনাল মাঠে গড়াতেই পরিস্কার হয়ে গেল দুই দলের শক্তিমত্তার পার্থক্য।
ম্যাচের ৩৬তম মিনিটে প্রথমবার দারুণ আক্রমণ সাজিয়েছিল নেপাল। বা পাশ থেকে ওঠা আক্রমণ থেকে ক্রস পেয়ে শট নিলেও গোলপোস্টে রাখতে পারেননি নেপালি ফুটবলার আমিশা খারকি।
এক মিনিটের ব্যবধানে ডান পাশ বক্সের বাইরে দুর্দান্ত শট প্রতিহত করেন নেপালি গোলরক্ষক। তবে সবাইকে অবাক করে ওই বল কর্ণার না দিয়ে গোল শট দেন রেফারি।
বিরতিতে যাওয়ার আগে নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার তিন মিনিট আগে গোলের দেখা পায় বাংলাদেশ। ৪২তম মিনিটে বক্সের ঠিক উপর থেকে দারুণ বাকানো শটে নেপালের জালে বল পাঠিয়ে দেন শাহিদা আক্তার রিপা।
প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন করেন অধিনায়ক শামসুন্নাহার। পাল্টা আক্রমণে নেপাল বল ক্লিয়ার করতে না পারলে প্রায় একক দক্ষতায় লক্ষ্যভেদ করেন স্বাগতিক অধিনায়ক। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ।
আপনার মতামত লিখুন :