• ঢাকা
  • রবিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৫, ৩০ কার্তিক ১৪৩২, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

ডা: জয়ন্ত ও সাকিয়া, কার দোষ কোথায়, সামাজিক মাধ্যমে যা হচ্ছে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০২৫, ০৮:৪৮ পিএম
ডা: জয়ন্ত ও সাকিয়া, কার দোষ কোথায়, সামাজিক মাধ্যমে যা হচ্ছে

সম্প্রতি ‘ভ্রমণকন্যা’ খ্যাত ডা. সাকিয়া হকের সঙ্গে তার স্বামী জয়ন্তের সম্পর্ক নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ আলোচনা-সমালোচনা তৈরি হয়েছে। ডা. সাকিয়া হক নিজেই তার সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট থেকে লাইভে এসে তার স্বামীর পরকীয়ার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। তাদের মধ্যে সেক্সুয়াল কম্প্যাটিবিলিটি না থাকার অভিযোগ এনে ডা. সাকিয়ার স্বামী তার সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছেদ করতে চাইছেন।

এই বিষয়টি নিয়ে কয়েকজনের ফেসবুক  পোস্ট

১.

বিয়ের সাড়ে চার বছর পর, হঠাৎ একদিন জয়ন্ত নামের লোকটা বলল, We are not physically compatible. আমরা আলাদা হয়ে যাই।
এক দিনের নোটিশে।
সাকিয়া বলেছিল, তুমি যেমন চাও, তেমনভাবেই থাকবে সব। আমি মানিয়ে নেব, কিন্তু একসাথেই থাকব।
দশ বছরের প্রেম, সাড়ে চার বছরের সংসার এভাবে কেউ কীভাবে শেষ করে দিতে পারে!
একটা মেয়ে ডাক্তার, ঢাকা মেডিকেল থেকে পাশ করা, বিসিএস ক্যাডার অফিসার, যে হাজার হাজার মেয়ের অনুপ্রেরণা, এত স্ট্রং, অসম্ভব ব্রিলিয়ান্ট এমন একজন মেয়ে কতটা ভেতর থেকে ভেঙে পড়লে দুইবার নিজের জীবন শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করতে পারে!
শেষমেশ জানা গেল, জয়ন্ত অন্য এক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে আছে। সেই মেয়ে নাকি সাকিয়ারই ফ্যান। সাকিয়া যখন বাগেরহাট থাকে জয়ন্ত সে মেয়েকে বাসায় নিয়ে আসে, সে বাসা যেটা সাকিয়া নিজে এত সুন্দর করে যত্ন করে সাজিয়েছে। প্রথম সংসার। প্রতিটা জিনিস কত আদরের হয় নিজের সংসারের।
একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা একটা মেয়ে যে জানে জয়ন্ত বিবাহিত। যার বউ এই বাসা টা নিজ হাতে সাজিয়েছে। তার বাসায় আসতে তার হাজবেন্ডের সাথে রিলেশনশিপে যেতে ওর কি বাধল না বিবেকে???
যারা জয়ন্তকে চিনত, তারা তাকে কত শান্ত, ভদ্র, অনেস্ট মানুষ হিসেবেই চিনত। হয়তো তারা এই লেখাটা পড়ে বিশ্বাসই করতে পারবে না। ভাববে, অসম্ভব।
একটা মানুষ ভালোবেসে ভিন্ন ধর্মের পুরুষকে বিয়ে করেছে, নিজের বিসিএস -দেশের সফল ক্যারিয়ার বিসর্জন দিয়ে বিদেশ চলে যেতে চাচ্ছিল সেই হাজব্যান্ডের জন্যই।হাজব্যান্ডের এজোস্পার্মিয়া,যার সাথে থাকলে কখনো বাচ্চা হবেনা - জেনেও সেই হাজব্যান্ডকেই জীবনের ধ্রুবতারা বানিয়ে ভালোবেসে যাচ্ছিল মেয়েটা।
পরকীয়ার মত কুস্রি জিনিস আর হয় না। বাংলাদেশে এই ঘটনা এত অহরহ ঘটে যে আমরা শুনে আতকে উঠি না। কিন্তু যার পরিবারের সাথে ঘটে যায় এইটা কি ভয়ংকর একটা জিনিস শুধু তারাই বুঝে।

দিনশেষে সবাই বলে, মানুষ কিসে আটকায়? কিভাবে একজন মানুষকে নিজের করে রাখা যায় আজীবন?
উত্তর হলো-"যে থাকতে চায় না, তার জন্য জীবন দিয়ে দিলেও তাকে আটকিয়ে রাখা যায় না।আর যে থাকার, সে এমনিতেই থাকে!ভালোবেসে থেকে যায়, মায়ায় আটকিয়ে থেকে যায়..!"

২.
একজন আপু লিখেছেন জয়ন্ত সেন আবির যিনি বর্তমানে কারাগারে আছেন। 
জয়ন্ত আমার প্রিয় বন্ধু ছিলো। সাইক্রিয়েটিস্ট ছিলো আমার। আমার প্রিয় বান্ধবীর হাজবেন্ড।  ট্যুর মেট ছিল।  সাকিয়া জয়ন্ত সহ আমরা একসংগে সুন্দরবন গিয়েছি, কমলদহ ঝর্ণা, আমিয়াখুম-নাফাখুম, তিনাপ সাইতার গিয়েছি ..... 
বন্ধু হয়েই এই ঘটনায় আমরা ট্রমাটাইজড। আমার বান্ধবী সাকিয়ার দশ বছরের সম্পর্ক আর সাড়ে চার বছরের সংসার যাদের জন্য ভেঙে গেলো তাদের দুইজনের কাউকেই আমরা ক্ষমা করতে পারব না। 
মেয়েটার ছবি পোস্ট করায় আমাকে খুব অল্প সংখ্যক মানুষ খুব আক্রমণাত্নক কমেন্ট করেছেন। দুইজন ইনবক্সে টেক্সট দিয়েছেন। কেন মেয়ের ছবি দিয়েছি। যে মেয়েকে জয়ন্ত পরিচয় করিয়ে দেয় বউ এর সাথে। জানে হ্যাপিলি ম্যারেড। 
মেয়েটা যখন নিয়মিত বাসায় আসে এর মধ্যেও এনিভার্সারিতে জয়ন্ত সাকিয়া কে উইশ করে। ওদের চমৎকার ছবি গুলা ফেইসবুকেও দিয়েছে সাকিয়া। অদিতি মেয়েটাও সব দেখেছে। 
জয়ন্তের অবশ্যই দোষ। সে জন্য সে অলরেডি কারাগারে। কিন্তু মেয়েটার জন্য আইন নেই বাংলাদেশে। কি করব তাহলে? ওকে জাস্ট ছেড়ে দেয়া উচিত?  

জয়ন্ত - ওর ৯৯% দোষ। মেয়ে টা ত সুযোগ দিয়েছে। একজন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মেয়ে কখনও এমন করবে না। 
বাংলাদেশে সততা এবং নৈতিকতা শব্দ টা শোকেইসে সাজানো দুইটা শব্দ হয়ে গেছে। দৈনন্দিন জীবনে এর কোনো এপ্লিকেশন নাই।
সেজন্য নৈতিকভাবে স্খলিত একটা মানুষ কে নিয়ে কনসার্ন দেখাচ্ছেন।  
যারা প্রতারকের ছবি দেখতে চেয়েছেন তাদের জন্য
মানুষের দেখা উচিত জানা উচিত যে জানোয়ার দেখতে হুবহু মানুষের আকৃতির হয়....

সামাজিক যোগাযোগ বিভাগের আরো খবর

Link copied!