শুকনো আঙুর থেকেই তৈরি হয় কিশমিশ—প্রাকৃতিক মিষ্টি, ফাইবার ও নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর এই খাবারটি আমাদের রান্নাঘরে বেশ পরিচিত। ক্ষীর, পায়েস, বিরিয়ানি কিংবা সেমাই—সব জায়গাতেই এর ব্যবহার। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিশমিশ ভিজিয়ে খাওয়া শুকনো অবস্থার চেয়ে অনেক বেশি উপকারী।
আধুনিক পুষ্টিবিজ্ঞান ও আয়ুর্বেদ মতে, ভেজানো কিশমিশ শরীরের পুষ্টি শোষণ ও হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে। ভারতীয় একটি স্বাস্থ্য পোর্টাল জানিয়েছে, এক মাস নিয়মিত ভেজানো কিশমিশ খেলে শরীরে দেখা দেয় বেশ কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন।
কেন ভেজানো কিশমিশ বেশি কার্যকর
কিশমিশ পানিতে ভিজিয়ে রাখলে এর প্রাকৃতিক চিনি ও ফাইবার নরম হয়, ফলে এটি সহজে হজম হয় এবং শরীর দ্রুত পুষ্টি শোষণ করতে পারে।
একমাস টানা খেলে যেসব উপকার পাওয়া যায়
১️. হজমে সহায়ক:
কিশমিশে থাকা ডায়েটারি ফাইবার প্রাকৃতিক রেচক হিসেবে কাজ করে। প্রতিদিন সকালে ভেজানো কিশমিশ খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় ও অন্ত্রের চলাচল স্বাভাবিক থাকে।
২️. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক:
পটাশিয়ামের ভালো উৎস কিশমিশ রক্তনালীগুলোকে শিথিল করে ও সোডিয়ামের প্রভাব কমায়। নিয়মিত খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
৩️. রক্তাল্পতা দূর করে:
কিশমিশে রয়েছে আয়রন ও ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, যা হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সাহায্য করে। এতে রক্তাল্পতা ও ক্লান্তি দূর হয়।
৪️. রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:
ভেজানো কিশমিশে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি শরীরকে ফ্রি র্যাডিকেল থেকে রক্ষা করে এবং সাধারণ সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
৫️. ত্বক ও লিভার পরিষ্কার রাখে:
এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রক্ত পরিশোধন ও লিভারের ডিটক্স প্রক্রিয়া উন্নত করে। ফলে ত্বক উজ্জ্বল হয়, বলিরেখা কমে এবং শরীর থাকে সতেজ।
খাওয়ার নিয়ম
প্রতিদিন রাতে ৮-১০টি কিশমিশ এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।
পরদিন সকালে খালি পেটে কিশমিশগুলো চিবিয়ে খান এবং সেই পানিটিও পান করুন। নিয়মিত একমাস খেলেই পরিবর্তন টের পাবেন।








































