জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলগুলোকে দেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের এক সপ্তাহের সময় শেষ হতে যাচ্ছে আগামীকাল সোমবার। গতকাল শনিবার পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো ইতিবাচক পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা মেলেনি। জামায়াতে ইসলামী হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নভেম্বরে গণভোটসহ পাঁচ দফা দাবি মেনে না নিলে আগামী ১১ নভেম্বর রাজধানী ঢাকার চিত্র ভিন্ন হবে। গত বৃহস্পতিবার জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, ‘সোজা আঙুলে যদি ঘি না ওঠে, আঙুল বাঁকা করব। ঘি আমাদের লাগবেই।’
এ ছাড়া আগামী ১৩ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় কবে ঘোষণা করা হবে, তা জানাতে আগামী ১৩ নভেম্বর তারিখ রাখা হয়েছে। এই মামলার অন্য দুজন আসামি হচ্ছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। এর মধ্যে আবদুল্লাহ আল মামুনকে রাজসাক্ষী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
এই দিনটিকে কেন্দ্র করে নানা জল্পনাকল্পনা শুরু হয়েছে। প্রতিবেশী দেশের সংবাদপত্র এবং সামাজিক মাধ্যমে নানা প্রচার চলমান। বলা হচ্ছে, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ঢাকা লকডাউন কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে। ঢাকায় প্রচুর লোকের সমাগম ঘটিয়ে বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা এবং গাড়িতে আগুন দিয়ে জনমনে আতঙ্ক তৈরি করাসহ নানা অপতৎপরতা চালানো হতে পারে।
তাদের লক্ষ্য, সহিংস পরিস্থিতি তৈরি করে বিচারপ্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করা। এ বিষয়ে ওপার বাংলার সংবাদপত্র আনন্দবাজারের সংবাদ শিরোনাম, ‘সোমবার থেকে রাস্তায় নামছে আওয়ামী লীগ’। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর কাছে এ বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট হুমকি না থাকলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এসব প্রচারকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সে অনুযায়ী নেওয়া হচ্ছে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি। তবে ক্ষমতাচ্যুতদের এই হুমকির বাইরেও অন্যান্য রাজনৈতিক হুমকিকেও গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী।

































