জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, ‘জাতীয় পার্টিকে হাত-পা বেঁধে সাঁতার প্রতিযোগিতায় নামাতে চাইছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। একটি পাতানো ও একতরফা নীলনকশার নির্বাচনের দিকে দেশকে পরিচালিত করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে জনগণ মনে করছে।’
শনিবার (১৫ নভেম্বর) বিবৃতিতে তিনি বলেন, নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা কিছুটা হলেও বাড়াতে জাতীয় পার্টিকে নির্বাচন থেকে একদম বাইরে রাখা সমীচীন হবে বলে মনে করি না।
জি এম কাদের উল্লেখ করেন, নির্বাচনি কাজের অংশ হিসেবে গত ১৪ নভেম্বর জাতীয় পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী সিনিয়র নেতাদের একটি দল নিয়ে দিনাজপুরে যান। সেখানে স্থানীয় দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা ছিল। কিন্তু সেখানে এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাদের বাধা দেওয়ার আশঙ্কার কথা বলে স্থানীয় প্রশাসন পুলিশের সহায়তায় নিরাপত্তা না দিয়ে বরং নির্দিষ্ট স্থানে বৈঠক করতে বাধা দেয়।
একইভাবে গত ৭ নভেম্বর ঢাকার কেরানীগঞ্জের স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে জাতীয় পার্টির ঢাকা জেলার এক কর্মী সমাবেশ এবং ১২ নভেম্বর ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় প্রথমে এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদ বাধা দেয়। পরে পুলিশ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরিবর্তে সমাবেশ বন্ধ করে দেয়।
এর আগে গত ১১ অক্টোবর জাতীয় পার্টির নির্বাচনি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ কর্মী সমাবেশ পুলিশ বিনা উসকানিতে পণ্ড করে দেয়।
জাতীয় পার্টির কার্যক্রম স্থবির করতে সরকারের মদদে সারা দেশের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়ের করা হচ্ছে। একাধিক মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়ের করা হয়েছে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানসহ অনেক নেতাদের বিরুদ্ধে।
দোষী সাব্যস্ত না হওয়া সত্ত্বেও মিথ্যা মামলায় এখনও এক বছরের বেশি সময় ধরে কারাভোগ করছেন জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু ও ঢাকা মহানগর উত্তরের নেতা এ এন এম সেলিম। তারা একটি মামলায় জামিন পেলেও আবার নতুন করে আরেকটি মামলা দেওয়া হচ্ছে বা মামলায় অজ্ঞাতনামা তালিকায় শোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে তাদের কারাগারে আটকে রাখা হচ্ছে।































