ডালিম বা বেদানা শুধুমাত্র ফল নয়—এটিকে বলা হয় প্রাকৃতিক শক্তিঘর। ডালিম খাওয়ার আছে অনেক উপকারিতা। আর বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন ডালিম খেলে এক মাসেই মানুষের শরীর ও মনে অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটে।
যেসব পরিবর্তন ঘটে শরীর ও মনে
হৃদযন্ত্র আরও শক্তিশালী হয়
ডালিমের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তচাপ, ট্রাইগ্লিসারাইড এবং ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত ডালিমের রস পান করলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যেতে পারে।
ত্বকে আসে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা
ডালিমের উপাদান ত্বকের কোলাজেন ধরে রাখে এবং ত্বকের তৈলাক্ত ভাব কমায়। এতে বলিরেখা কমে এবং ত্বক হয় মসৃণ ও প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল।
শরীরের প্রদাহ কমে
ডালিমে থাকা পুনিক্যালাজিন নামের যৌগ প্রদাহবিরোধী কাজ করে, যা ডায়াবেটিস, হৃদরোগ বা স্থায়ী ক্লান্তি প্রতিরোধে সহায়তা করে।
স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগ বাড়ে
প্রতিদিন ডালিম খেলে মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ উন্নত হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, ডালিম স্মৃতিশক্তি বাড়ায় এবং মনোযোগ উন্নত করে।
হজমপ্রক্রিয়া ভালো হয়
ডালিমে থাকা ফাইবার অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়াকে পুষ্টি জোগায়, হজমে সহায়তা করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে।
রক্তে শর্করার ভারসাম্য রক্ষা করে
যাদের ডায়াবেটিস বা রক্তে শর্করার সমস্যা আছে, তাদের জন্য ডালিম সহায়ক হতে পারে। এটি ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ায় ও রক্তে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
শরীরচর্চার পর দ্রুত ক্লান্তি দূর করে
অ্যাথলেটদের ওপর করা গবেষণায় দেখা গেছে, ডালিমের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দ্রুত ক্লান্তি কমায় ও পেশির পুনর্গঠনে সাহায্য করে।
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
একটি মাঝারি আকারের ডালিমে দৈনিক ভিটামিন সি’র চাহিদার ৩০ শতাংশ পূরণ করে। এছাড়া ফোলেট, পটাশিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মিলে এটি শরীরকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
কিডনি পরিষ্কার রাখে
ডালিম শরীরে টক্সিন জমতে বাধা দেয় এবং কিডনিতে পাথর তৈরির ঝুঁকি কমায়। এটি মূত্রথলিকে সুস্থ রাখে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
ডালিমে থাকা প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রদাহবিরোধী উপাদান চর্বি জমা রোধ করে, বিপাক ক্রিয়া উন্নত করে ও ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।







































