• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

পৃথিবীর ছায়াপথে অবস্থিত কৃষ্ণগহ্বরের প্রথম ছবি


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ১২, ২০২২, ০৯:০২ পিএম
পৃথিবীর ছায়াপথে অবস্থিত কৃষ্ণগহ্বরের প্রথম ছবি

পৃথিবীর ছায়াপথে অবস্থিত বিশালাকার কৃষ্ণগহ্বরের প্রথম ছবি তুললেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এই গ্রহের ছায়াপথের ধুলো ও অন্ধকার ভেদ করে ছবিটি তুলতে সক্ষম হয়েছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (১২ মে) ওয়াশিংটন ডিসিটে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে পৃথিবীর ছায়াপথের কৃষ্ণগহ্বরের প্রথম ছবি প্রকাশ করা হয়।

বিবিসি বলছে, ছবিতে রেডিও নির্গমনের গলদযুক্ত ডোনাটের মতো একটি খালি স্থানকে মৃত্যুর মতো অন্ধকার ও নীরব দেখাচ্ছে।

এর আগে ২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো কৃষ্ণগহ্বরের ছবি তুলেন বিজ্ঞানীরা। দীর্ঘ দিনের গবেষণার পর পৃথিবীর ছায়াপথে অবস্থিত কৃষ্ণগহ্বরের ছবি তুলতে সক্ষম হন তারা। নতুন ছবিতে মহাকর্ষীয় রহস্যের নতুন বিবরণ যোগ করেছে।

ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বর ছিল অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার তত্ত্বের একটি অনাকাঙ্খিত পরিণতি। যা বস্তু ও শক্তির মাধ্যমে স্থান এবং সময়ের বিক্ষিপ্ততার জন্য মাধ্যাকর্ষণকে দায়ী করে।

আইনস্টাইনের অন্তর্দৃষ্টি মহাজাগতিক সম্পর্কে এক নতুন ধারণার দিকে পরিচালিত করেছিল। যেখানে স্থান-কাল কাঁপতে পারে, বাঁকতে পারে, ছিঁড়ে যেতে পারে, প্রসারিত হতে পারে, ঘূর্ণায়মান হতে পারে ও এমনকি ব্ল্যাক হোলের মাউতে চিরতরে অদৃশ্য হয়ে যেতে পারে। মাধ্যাকর্ষণ শক্তির সত্তা এত শক্তিশালী যে আলোও পালাতে পারে না।

আইনস্টাইন এই ধারণাটিকে অস্বীকার করেছিলেন, কিন্তু মহাবিশ্ব এখন ব্ল্যাক হোল দিয়ে দাগযুক্ত বলে পরিচিত। অনেকগুলি মৃত নক্ষত্রের অবশেষ যা নিজেদের ভিতরে ভিতরে ভেঙ্গে পড়ে এবং চলতে থাকে।

ধারণা করা হয়, প্রতিটি গ্রহের ছায়াপথে কৃষ্ণগহ্বর আছে। যা সূর্যের চেয়ে মিলিয়ন বা বিলিয়ন গুণ বড় হতে পারে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এখনও বুঝতে পারছেন না কীভাবে এই কৃষ্ণগহ্বর এত বড় হয়েছে।

Link copied!