• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

সবজির সঙ্গে ডিমের দামে অস্বস্তিতে ক্রেতারা


জাহিদ রাকিব
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২২, ১১:৪৪ এএম
সবজির সঙ্গে ডিমের দামে অস্বস্তিতে ক্রেতারা

সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে ডিমের দাম। প্রতি ডজন ডিম ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকায়। আর হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকা ডজন। ১৬০ টাকার ব্রয়লার মুরগির দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম ১০-১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে অস্বস্তি বেড়েছে সাধারণ মানুষের।

শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, নিত্যপণ্যের এমন বাজার বৃদ্ধির প্রতিযোগিতা।

রামপুরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, তিন আগে ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হতো ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায়। সেখানে আজকে বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকা। বিক্রেতাদের অভিযোগ, হঠাৎ করে পাইকারি বিক্রেতারা বাড়িয়েছে ডিমের দাম। ফলে বাড়তি দামে ডিম কিনে বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারে মুরগি বিক্রেতা আব্দুর রহমান সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “হঠাৎ বাজারে মুরগির দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা। পাইকারি বিক্রিতেরা বেশি দামে বিক্রি করায় আমাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। অন্যদিকে সোনালি মুরগি ৩২০ টাকা আর দেশি মুরগি ৫০০ থেকে ৫২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।”

কারওয়ান বাজার সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির অজুহাত দেখিয়ে সব সবজিতে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ১৫ বাড়তি বিক্রি করতে দেখা যায়। বাজারে বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শসা, কাঁচা মরিচসহ বিভিন্ন সবজির দাম বেড়েছে। দুই দিনের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে বেগুন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়, ফুলকপি ৪৫ টাকায়, গাজর ৭০ টাকায়, শসা ৬০ টাকায়, কাঁচা মরিচ ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাউ পিস ৩০ ও বাঁধাকপি (ছোট পিস) ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত শনিবার প্রতি কেজি বেগুন ৩০ টাকা, ফুলকপি ৪০ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা, গাজর ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, শসা ৬০ থেকে ৬৫ টাকা ও কাঁচা মরিচ ৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা আলমগীর হোসেন সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “টানা বৃষ্টিতে কৃষকের মাঠে অনেক সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে বাজারে সবজির একটু সংকট তৈরি হয়েছে। আমাদের বাড়তি দামে সবজি কিনতে হচ্ছে। আশা করি এই সপ্তাহের মধ্য বাজার আবার কমে যাবে।”

কারওয়ান বাজারের আরেক সবজি বিক্রেতা কবির সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “আমরা প্রতিটি সবজিতে প্রতি কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা লাভ করি। এখন যেমন লাভ করছি কিছুদিন আগে যখন দাম কম ছিল, তখনো একই হারে লাভ করে বিক্রি করেছি। কিন্তু পাইকারি বাজারে প্রতিটি সবজির দাম দ্বিগুণ হয়েছে। এ জন্য আমাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।”

নিত্যপণ্যের এমন দাম বাড়ায় অস্বস্তিতে আছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আমিরুল ইসলাম। তিনি সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “বাজারে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। কিন্তু আমার বেতন বাড়েনি। বাজার করতে এসে সবজির দোকানগুলোতে দামদর করছি। কিন্তু বিক্রেতারা যেভাবে দাম হাঁকাচ্ছেন, কেনার সামর্থ্য নেই।”

কারওয়ান বাজারে নিয়মিত বাজার করেন আফজাল হোসেন। তিনি সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার কারণে কষ্টে রোজগার করা টাকা জমাতে পারছি না। প্রতিদিন হতাশার মধ্যেই পার হচ্ছে।”

Link copied!