দল করা কোনো ব্যক্তির রাজনৈতিক অধিকার বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেছেন, “দল যে কেউ করতে পারেন। এটি তার রাজনৈতিক অধিকার। কিন্তু রাজনীতির নামে দেশে অশান্তি সৃষ্টি করবেন, দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করার ষড়যন্ত্র করবেন। এটা সহ্য করা হবে না।”
সোমবার (৮ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এলজিইডি ভবনে স্থানীয় সরকার বিভাগ আয়োজিত বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, “স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি আল-বদর, আস-শামস ও পাকিস্তানের দোসরা বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছর শাসনামলে দৃশ্যমান না থাকলেও ভেতরে ভেতরে তারা ষড়যন্ত্র লিপ্ত ছিল। গোলাম আযম বাংলাদেশ হিন্দু রাষ্ট্র হয়েছে বলে দেশের বাইরে অপপ্রচার চালিয়েছে। লন্ডনে বসে পূর্ব পাকিস্তান পুনঃগঠন কমিটি গঠন করেছে। এই ইতিহাস সবার জানা।”
বঙ্গবন্ধুর আত্মত্যাগের কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, “বঙ্গবন্ধু সারা জীবন জেল-জুলুম ও অত্যাচার সহ্য করেছেন শুধু মাত্র বাঙালির মুখে হাসি ফোটানোর জন্য। তার এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে কথা বলার সময় সতর্ক হওয়া উচিত। আওয়ামী লীগ ক্ষমতার বাইরে থাকাকালীন তাদের শাসনামলে রেডিও টেলিভিশনে বঙ্গবন্ধুর নাম শুনা যেত না।”
বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বঙ্গবন্ধুর অনুপ্রেরণা ও উদ্দীপনার উৎস ছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বঙ্গমাতা জাতির পিতাকে সব সময় সহযোগিতা ও উৎসাহ প্রদান করেছেন বলেই বঙ্গবন্ধু নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে দায়িত্ব পালনে কখনো বিচলিত হননি। বঙ্গবন্ধুর সারা জীবনের লড়াই-সংগ্রাম ও আন্দোলনে ছায়ার মতো পাশে থেকে সাহস জুগিয়েছেন বঙ্গমাতা। যার কারণে আমরা পেয়েছি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।”
কুশীলবদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই, এখনো ষড়যন্ত্র চলছে জানিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, “করোনার সময় বিশ্বের অধিকাংশ দেশের তুলনায় বাংলাদেশের ইকোনমিক গ্রোথ রেইট অনেক ভালো ছিল। বর্তমানে সারা পৃথিবী কৃচ্ছ্রতা সাধন করছে। আমরাও তা অনুসরণ করতে বাধ্য হচ্ছি। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনা করার কোনো সুযোগ নেই। অর্থনীতির বিভিন্ন প্যারামিটার বিশ্লেষণ করলে তা স্পষ্ট হবে। তবু এগুলো অনেকে অস্বীকার করে পেছনে ষড়যন্ত্র করছে।”
আপনার মতামত লিখুন :