• ঢাকা
  • শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

মাথা গোঁজার ঠাঁই পেতে ঢাকায় এলেন একদল ভূমিহীন মানুষ


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মার্চ ১৩, ২০২৩, ০৮:৫০ পিএম
মাথা গোঁজার ঠাঁই পেতে ঢাকায় এলেন একদল ভূমিহীন মানুষ

চেয়ারম্যান বলে ঢাকায় গিয়ে কাজ করো। তাই মোমেনার যখন বাড়ি নদীতে ভেসে যায় তখন সে শহরে আসে কাজের জন্য। কাজও করছে নারায়ণগঞ্জে, মানুষের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ।

মোমেনার সাথে কথা বলতে বলতেই আরেকজন এগিয়ে এলেন। ইসমাইল হোসেন নিজে থেকেই বলতে শুরু করলেন, রেলের পাশে ঘর করে থাকি। ২৩ বছর ধরে জায়গা জমি নাই, নদী সব নিয়ে গেছে। এখন এখানে কিছু দিন পর পর বলে জায়গা ছাড়ো। ঘর অন্য কোথাও নিয়ে যাও। এখন আমরা কই যাব? সেই রংপুর থেকে ঢাকায় আসছি প্রধানমন্ত্রীকে বলার জন্য। দেখি প্রধানমন্ত্রী কী করেন?

এসময় রংপুর থেকে আগত আরেকজন বলেন, “তিন পোলামাইয়া লইয়া মানুষের বাসায় কাম করে খাইয়া না খাইয়া দিন কাটাই। স্বামী মরছে জায়গাজমিও নাই। কোনো ভাতাও পাই না। চেয়ারম্যানকে বললে বলে ৫০ হাজার টাকা দাও জমি দিব। যদি আয়ামার ৫০ হাজার টাকা থাকতো, তাহলে তো জায়গা কিনতেই পারতাম। সরকারের কাছে কেন চামু “—বলেই চোখের পানি ফেলেন এক বৃদ্ধ।

সোমবার (১৩ মার্চ) এরকমই ভূমিহীন আরো কিছু মানুষের সমাবেশ হয় হয় রাজধানীর শাহাবাগে। ভূমিহীন ও গৃহহীন সংগঠন, রংপুরের ব্যানারে দুপুর ৩টায় এই সমাবেশ হয়।

সমাবেশে দাবি করা হয়, অকৃষি খাস জমিতে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের অবিলম্বে পুনর্বাসন করতে হবে; নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য গরিব মানুষের ক্রয় ক্ষমতা অনুযায়ী নির্ধারণ করতে হবে; সকল শ্রমজীবী, বয়স্ক, প্রতিবন্ধী, বিধবা, স্বামী পরিত্যাক্তা মানুষকে আর্মি রেটে রেশন দিতে হবে।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সংগঠক আনোয়ার হোসেন বাবলু ও পরিচালনা করেন সংগঠক আহসানুল আরেফিন তীতু। এছাড়াও সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় কৃষক ক্ষেতমজুর  সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, বাসদ (মার্কসবাদী), কেন্দ্রীয় নির্বাহী ফোরামের সমন্বয়ক মাসুদ রানা, অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন।

পরে সমাবেশ শেষে সেখান থেকে গৃহহীন সংগঠনের সংগঠক আনোয়ার হোসেন বাবলুর নেতৃত্বে একটি দল প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের উদ্দেশে যান।

Link copied!