ইন্টারনেট ব্যবহার

যে কারণে এশিয়ায় পিছিয়ে বাংলাদেশের নারীরা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ১৮, ২০২৪, ০৫:৩৫ পিএম
যে কারণে এশিয়ায় পিছিয়ে বাংলাদেশের নারীরা
গ্রামের নারীরাও ব্যবহার করছেন ইন্টারনেট। ছবি: সংগৃহীত

মোবাইলে ইন্টারনেট সেবা নেয়ার ক্ষেত্রে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে নারী-পুরুষের মধ্যে ব্যবধান সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশে। যা ৪০ শতাংশ। অথচ ভারতে এই ব্যবধান ৩০ শতাংশ আর পাকিস্তানে ৩৮ শতাংশ। অন্যদিকে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার মুসলিম প্রধান দেশ ইন্দোনেশিয়ায় মাত্র ৮ শতাংশ।

এমন তথ্য উঠে এসেছে মোবাইল ফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর বৈশ্বিক সংগঠন গ্লোবাল সিস্টেম ফর মোবাইল কমিউনিকেশনস অ্যাসোসিয়েশনের (জিএসএমএ) এক প্রতিবেদনে। ‘দ্য মোবাইল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট ২০২৪’ শিরোনামের সেই প্রতিবেদন চলতি মাসে প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ৫০ শতাংশ নারী ইন্টারনেটের ব্যবহার সম্পর্কে জানলেও তারা তা ব্যবহার করেন না। কারণ হিসেবে সাক্ষরতা ও ডিজিটাল দক্ষতার অভাবের বিষয় উঠে এসেছে। যে অদক্ষতা পুরুষের বেলাতেও প্রযোজ্য। পাশাপাশি সামর্থ্য না থাকাও বড় একটি কারণ। তবে মোবাইল ফোনের মালিকা আর ইন্টারনেট ব্যবহারে নারী-পুরুষের ব্যবধান কিছুটা কমে এসেছে।

জিএসএমএ বলছে, মোবাইল ফোনের মালিকানায় নারীরা পিছিয়ে থাকছেন মূলত নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে। বিশেষত, অস্বচ্ছল, পড়াশোনা না জানা, গ্রামাঞ্চলে বসবাস করা ছাড়াও বিশেষভাবে সক্ষম নারীরা আর পিছিয়ে থাকছেন।

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে ৮৫ শতাংশ পুরুষ ও ৬৮ শতাংশ নারী মোবাইল ফোনের মালিক। অর্থাৎ মালিকানায় নারী-পুরুষের ব্যবধান ২০ শতাংশের কাছাকাছি। যদিও সর্বশেষ জরিপের আগের বছর (২০২২) এ ব্যবধান ২১ শতাংশ ছিল। এ ছাড়া দেশে যত পুরুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন, নারীর মধ্যে সেই সংখ্যা তার অর্ধেক।

বিশ্বের নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ১২টি দেশের তথ্য প্রকাশ করেছে জিএসএমএ। এসব দেশ হলো- মিসর, ইথিওপিয়া, কেনিয়া, সেনেগাল, নাইজেরিয়া, উগান্ডা, বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মেক্সিকো ও গুয়াতেমালা।

গত বছর এসব দেশে জরিপ চালায় জিএসএমএ। যেখানে ভারত ছাড়া বাকি ১১টি দেশে ১৫ বছর ও এর বেশি বয়সের এক হাজার নারী ও পুরুষের তথ্য নেয়া হয়েছে। শুধু ভারতে দুই হাজার জনের ওপর জরিপ চালানো হয়।

তবে প্রতিবেদন থেকে আরও জানা গেছে, পুরুষের তুলনায় বাংলাদেশের নারীরা ইন্টারনেট ব্যবহারে বেশি আগ্রহী। মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী নারীর ৫৩ শতাংশ ও পুরুষের ৪৬ শতাংশ আরও বেশি ইন্টারনেট ব্যবহার করতে চান।

অবশ্য, বৈশ্বিকভাবে ইন্টারনেট ব্যবহারে নারীদের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। যেখানে নারী–পুরুষের ব্যবধান গত বছর ১৯ শতাংশ থেকে এবার ১৫ শতাংশে নেমেছে।

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর

Link copied!