নতুন ঘরের শোভা বাড়ায় দেয়ালের রং। পুরোনো ঘরকে নতুন করে রং করে নিলেও শোভা বেড়ে যাবে কয়েক গুণ। তবে রং নির্বাচন সঠিক না হলে বিপরীতটাও হতে পারে। ঘরের শোভা না বেড়ে বরং সবকিছু ম্লান হয়ে যেতে পারে।
ঘরের রং নির্বাচন করা সহজ নয়। ঘরের ধরন ও বাইরের পরিবেশ মাথায় রেখেই রং বেছে নিতে হয়। কোন রং ঘরকে উজ্জ্বল করবে, তা মাথায় রেখে নির্বাচন করতে হয়। রং নির্বাচনের ক্ষেত্রে কিছু ভুল হয়ে থাকে আমাদের। এসব ভুল এড়িয়ে গিয়ে ঘরের দেয়ালের জন্য রং বাছাই করা উচিত। কারণ, একবার রং করা ঘরকে আবারও পাল্টে নেওয়া সময়ের ব্যাপার আর ব্যয়বহুলও বটে।
ঘরের রং নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমাদের যেসব ভুল এড়িয়ে যাওয়া উচিত তা জানুন এই আয়োজনে।
প্রথমেই রং নির্বাচন
ঘর তৈরি করার পরপরই রং নির্বাচন করে ফেলি। এই সময় আসবাবের কথা মাথায় থাকে না। এটা ভুল সিদ্ধান্ত হতে পারে। ঘরের আসবাবে রঙের কথা মাথায় রেখে দেয়ালে রং নির্বাচন করতে হবে।
রঙের মান যাচাই না করা
ঘরের ভেতরে বা বাইরে রং করার আগে এর মান যাচাই করে নেওয়া জরুরি। রং করা বেশ ব্যয়বহুল হয়। দোকানে রং কেনার আগে এর মান দেখে নিন। প্রয়োজনে ছোট কৌটা কিনে তা লাগিয়ে দেখুন। পছন্দ না হলে পাল্টে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। কিন্তু রং যাচাই না করে একবার লাগিয়ে নিলে তা বদলে নেওয়াটা ঝামেলা। এ ক্ষেত্রে রঙের মান যাচাই করে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
ঘরের আবহ নির্ধারণে ভুল হওয়া
বাড়ির প্রতিটি ঘরেই একেক ধরনের আবহ থাকে। বড়দের ঘর, ছোটদের ঘর, বসার ঘর কিংবা খাবারের ঘর-একেক ঘরের আবহ একেক রকম। সেই আবহের কথা মাথায় না রেখেই রং নির্বাচন করা বোকামি। শোবার ঘরের পরিবেশের সঙ্গে রং বাছাই করুন। শান্ত পরিবেশে হালকা রং দিন। আবার বসার ঘরকে প্রাণবন্ত করতে উজ্জ্বল রং বেছে নিতে পারেন।
সব ঘরে একই রং
অনেকেই ঝামেলা এড়াতে সব ঘরে একই রং দিয়ে রাখেন। এটিও ঠিক নয়। কারণ এতে একঘেয়ে ভাব চলে আসে। ঘরের ব্যবহার ও ধরন বুঝে রং বেছে নিন। সেই অনুযায়ী রং লাগিয়ে নিলে প্রাণবন্ত মনে হবে।
পরিবেশ যাচাই না করা
ঘরের পরিবেশের কথা মাথায় রেখে রং নির্বাচন করতে হয়। ঘরের আলোর উপস্থিত বেশি না কম সেই অনুযায়ী রং নির্বাচন করুন। হালকা রং ঘরকে আলোকিত রাখে। তা ছাড়া যত লাইটের ব্যবহারই হোক প্রাকৃতিক আলোতেই প্রশান্তি মিলে। তাই ঘরে যথেষ্ট আলো বাতাস থাকলে হালকা রং এবং আলো বাতাস কম থাকলে উজ্জ্বল রং ব্যবহার করতে পারেন।
আপনার মতামত লিখুন :