• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১০ মে, ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

স্বামী-স্ত্রীর বয়সের ব্যবধান কত হওয়া উচিত


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ১০, ২০২৩, ১২:০২ পিএম
স্বামী-স্ত্রীর বয়সের ব্যবধান কত হওয়া উচিত

বিয়ের সম্পর্ক সুন্দর হওয়ার জন্য নারী ও পুরুষের বয়সের ব্যবধানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। অনেকের ক্ষেত্রে দুই বছরের ব্যবধানে সম্পর্ক মধুর হয় আবার অনেকের তা হয় ১০ বছরের ব্যবধানে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, বৈবাহিক সম্পর্কে স্ত্রী ও স্বামীর মধ্যে বয়সের কিছু ব্যবধান থাকে। অনেক ক্ষেত্রে নারীর পছন্দ তার জীবনসঙ্গী তার চেয়ে অল্প কয়েক বছরের বড় হোক। আবার অনেকের ক্ষেত্রে বয়সের আরও বেশি ব্যবধান সম্পর্ক ভালো করে তোলে। অন্যদিকে কয়েকজনের ক্ষেত্রে তা অনেক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। নারী-পুরুষের জন্য বয়সের ব্যবধানটা আসলে কত হওয়া উচিত, চলুন জেনে নিই।


৫-৭ বছরের ব্যবধান
৫ থেকে ৭ বছর, এমন ব্যবধান থাকলে দম্পতিদের মধ্যে ঝগড়া, বিবাদ, ভুল বোঝাবুঝি কম হয়। দুজনের মধ্যে একজন যদি পরিণত বয়সের হয়, তবে সে সম্পর্ককে সুন্দরভাবে ধরে রাখে। বয়সের এই ব্যবধানকে বিয়ের জন্য আদর্শ বলে মনে করা হয়। কারণ, এর ফলে একে অপরকে খুব কাছ থেকে বোঝা সম্ভব হয়।

১০ বছরের ব্যবধান 
অনেক ক্ষেত্রে ১০ বছর বয়সের ব্যবধানকে আদর্শ মনে করা হয় যদি দুজনের মধ্যে ভালোবাসা থাকে। যখন তারা নিজেদের জীবনের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ঠিক করে নেবে, তখন এই ১০ বছরের ব্যবধান কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করবে না। তবে অনেক ক্ষেত্রে এমন বয়সের ব্যবধানে স্ত্রী স্বামীর বিরুদ্ধে কথা বলতে সংকোচ করেন বলে মনে করা হয়। সে ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে।

২০ বছরের ব্যবধান 
আপাতদৃষ্টে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে এই বয়সের ব্যবধান আদর্শ নয়। যদিও অনেক বিখ্যাত দম্পতি আছেন যাদের বয়সের ব্যবধান ২০ বছরের বেশি। এই ব্যবধানে দুই সঙ্গীর জীবনের লক্ষ্য, উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং মতামতের ব্যাপক পরিবর্তন হয়। সব থেকে বড় সমস্যা হতে পারে সন্তান নেওয়ার ক্ষেত্রে। অপেক্ষাকৃত বয়স্ক সঙ্গী দ্রুত সন্তান নিতে চাইলেও এ ক্ষেত্রে হয়তো বয়সে কম সঙ্গী আগ্রহী হবেন না। তাদের চিন্তাধারার পার্থক্য সম্পর্কে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।

বয়সের ব্যবধান কেমন প্রভাব ফেলে 
দাম্পত্য জীবনে বয়সের ব্যবধান অনেকটাই প্রভাব ফেলে। কারণ, এতে মতামতের বিশাল পার্থক্য থাকে। তবে বর্তমান বিশ্ব প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে। বিবাহ আজ ক্ষণস্থায়ী সম্পর্ক। তবে সাধারণভাবে বয়সের ব্যবধান যত বেশি হয় দম্পতিরা তত বেশি সমস্যার মুখোমুখি হতে দেখা যায়। এ জন্য বয়সের ব্যবধান কম হলেই তাকে আদর্শ ধরা হয়।

একটি গবেষণায় দেখানো হয়েছে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বয়সের পার্থক্য বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের হারও বেড়ে যায়। স্বামী-স্ত্রীর বয়সের পার্থক্য ৫ বছর হলে তাদের বিচ্ছেদের আশঙ্কা সমবয়সী দম্পতির তুলনায় ১৮ শতাংশ বেশি বলছে গবেষণা। অন্যদিকে দেখা যাচ্ছে, বয়সের পার্থক্য ১০ বছর হলে বিচ্ছেদের আশঙ্কা ৩৯ শতাংশ।
আর বয়সের পার্থক্য ২০ বছর হলে ৯৫ শতাংশ বেড়ে যায় বিচ্ছেদের আশঙ্কা। স্বামীর চেয়ে স্ত্রীর বয়স কম থাকে এটাই স্বাভাবিক আমাদের কাছে। কিন্তু  সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যাচ্ছে মানুষের মানসিকতাও। এখন অনেকেই বয়সে বড় স্ত্রীর সঙ্গে কিংবা বয়সে ছোট স্বামীর সঙ্গে দিব্বি সুখের সংসার চালিয়ে যাচ্ছেন। পরিশেষে এটা মানতেই হয় যে, স্বামী-স্ত্রীর দৈনন্দিন সম্পর্কের ওপরও বিচ্ছেদের ব্যাপার অনেকাংশে নির্ভর থাকে। সম্পর্ক যত ঘনিষ্ঠ হবে, বিচ্ছেদের সম্ভাবনা ততই কমবে।

Link copied!