• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

রোজা রাখার আগে যা জানতে হবে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ১০, ২০২৪, ০৬:১৮ পিএম
রোজা রাখার আগে যা জানতে হবে

রমজান মাস শুরু হচ্ছে। সারা মাস সিয়াম সাধনার মধ্য দিয়েই মুসলিমগন রোজা রাখবেন। এই মাস সর্বাপেক্ষা পবিত্র মাস। কারণ পবিত্র কোরআনে এই মাসের সুস্পষ্ট বর্ণনা রয়েছে। মুমিনগন রোজা রাখার প্রস্তুতি এখন থেকেই শুরু করেছেন। পবিত্র এই মাসে আল্লাহ্র সন্তুষ্টি লাভের জন্য সঠিক নিয়ম মেনে রোজা রাখতে হবে। নিয়ম করে সাহরি খেতে হবে এবং সময়মতো ইফতার করতে হবে। রোজা রাখার আগে যে বিষয়গুলো জানতে হবে_

  • সুবাহে সাদিকের আগে সাহরির সময় যখন শেষ হবে তখনই খাওয়া দাওয়া বন্ধ করতে হবে। অনেকে আযান পর্যন্ত খাওয়া দাওয়া করেন। এটা করা যাবে না। আযান পর্যন্ত খাওয়ার নিয়ম নেই। তার আগেই সাহরির সময় শেষ হয়ে যায়।
  • সঠিকভাবে রোজার নিয়ত করতে হবে। রোজার আরবি নিয়ত: نَوَيْتُ اَنْ اُصُوْمَ غَدًا مِّنْ شَهْرِ رَمْضَانَ الْمُبَارَكِ فَرْضَا لَكَ يَا اللهُ فَتَقَبَّل مِنِّى اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْم (নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম, মিন শাহরি রমাদানাল মুবারাক; ফারদাল্লাকা ইয়া আল্লাহু, ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস সামিউল আলিম)। অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল পবিত্র রমজানের তোমার পক্ষ থেকে নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ (নিয়্যত) করলাম। অতএব তুমি আমার পক্ষ থেকে (আমার রোযা তথা পানাহার থেকে বিরত থাকাকে) কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।
  • সুর্যাস্তের সময় মাগরিবের আযান শুনেই ইফতার করতে হবে। ইফতারের দোয়া: بسم الله اَللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَ عَلَى رِزْقِكَ اَفْطَرْتُ (আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আলা রিযক্বিকা ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন)। অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমারই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিজিজের মাধ্যমে ইফতার করছি। (মুআজ ইবনে জাহরা থেকে বর্ণিত, আবু দাউদ, হাদিস : ২৩৫৮)।
  • রোজায় পাঁচ ওয়াক্তের নামাজ নিয়মিত আদায় করতে হবে। সেই সঙ্গে নিয়মিত তারাবীহ নামাজ আদায় করতে হবে। পবিত্র রমজানের গুরুত্বপূর্ণ সুন্নতগুলোর অন্যতম এ সালাত। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সাওয়াবের উদ্দেশ্যে রমজানে তারাবীহর নামাজ আদায় করেন, তার অতীতের গুনাহগুলো আল্লাহপাক ক্ষমা করে দেবেন। (বুখারি শরিফ)। রমজানে এশার ফরজ ও সুন্নত নামাজের পর বিতরের আগে তারাবীহর নামাজ আদায় করতে হয়। ২০ রাকাত তারাবীহর নামাজে প্রতি চার রাকাত অন্তর চার রাকাত নামাজের সমপরিমাণ সময় বিরতি দিয়ে আদায় করা হয়। দুই ধরণের তারাবীহ প্রচলিত রয়েছে। একটি হলো সুরা তারাবি এবং অন্যটি হলো খতম তারাবি। সুরা তারাবি হলো পবিত্র কোরআনের যে কোন সুরা দিয়ে ২০ রাকাত নামাজ আদায় করা। খতম তারাবি হলো রমজান মাসে সম্পূর্ণ কোরআন সহকারে তারাবীহ আদায় করা। উভয় পদ্ধতিই ইসলাম অনুমোদন করে।
  • তারাবির নামাজ পড়ার নিয়ম জানতে হবে। এশার নামাজের চার রাকাত ফরজ ও দুই রাকাত সুন্নতের পর এবং বিতর নামাজের আগে দুই রাকাত করে ১০ সালামে ২০ রাকাত নামাজ আদায় করতে হবে হয়। তারাবি নামাজের নিয়ত: নাওয়াাইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তাআলা, রকাআতাই সালাতিত তারাবিহ, সুন্নাতু রাসুলিল্লাহি তাআলা, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি, আল্লাহু আকবার (আমি কেবলামুখি হয়ে দুই রাকাআত তারাবির সুন্নতে মুয়াাক্কাদাহ নামাজের নিয়ত করছি। আল্লাহু আকবার। (জামাআত হলে যোগ করতে হবে এ ইমামের পেছনে পড়ছি)।
  • তারাবির নামাজ দুই রাকাত নামাজ আদায় করে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করা। আবার দুই রাকাত নামাজ পড়া। এভাবে ৪ রাকাত আদায় করার পর একটু বিশ্রাম নেওয়া হয়। বিশ্রামের সময় তাসবিহ তাহলিল পড়া, দোয়া-দরূদ ও জিকির আজকার করা হয়। এরপর আবার দুই দুই রাকাত করে আলাদা আলাদা নিয়তে তারাবি আদায় করা হয়।
  • তারাবির নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করা শরীয়ত সম্মত। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে তারাবির নামাজ জামাতে আদায় করেছেন এবং জামাতে আদায়ের ব্যাপারে তাগিদ দিয়েছেন।
Link copied!