প্রতিদিনের অনেকটা সময় ঘরেই কেটে যায়। সকালে ঘুম থেকে উঠা এরপর সারাদিনের ব্যস্ততা শেষে আবারও ঘরে ফেরা। সব চিন্তা ঝেড়ে ফেলে ঘরের বিছানায় গা ভাসানো। পরম তৃপ্তি। শান্তির নিবাস হচ্ছে ঘর। এই ঘরকে সাজাতে হয় সুন্দর করে। যেখানে মিলবে শান্তির ছোঁয়া। বাড়ির প্রতিটি ঘরে সুন্দর করে সাজাতে যে খুব অর্থের প্রয়োজন হয় তা কিন্তু নয়। নিজের সৃজনশীলতায় একটু গুছিয়ে নিলেই চিরচেনা ঘরটি হয়ে উঠবে ঐশ্বর্যময় ও বিলাসবহুল।
ঘরকে প্রশান্তির স্থান বানাতে এবং সহজেই ঐশ্বর্যময়, সুন্দর করে তুলতে ডেকোরেশনের উপর জোর দিন। সুন্দর ডেকোরেশন আইডিয়াই আপনাকে পরিপাটি ঘর দিতে পারে। ঘরে ছোট জায়গা সাজানোটা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। তবে সঠিক কৌশলের সঙ্গে সব ফিট করুন। তা সত্যি চমকপ্রদ হবে। ঘরের সাজসজ্জার কী করবেন আর কী বর্জন করবেন তা কিছু টিপস জানাব এই আয়োজনে।
জানালার পর্দা
ঘর সাজানোর ক্ষেত্রে জানালার পর্দা বাছাই গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পর্দা ঘরের গোপনীয়তা রক্ষা করে। ঘরের জন্য সঠিক পর্দা বাছাই করলে চাকচিক্যতা ফুটে উঠে। পর্দা কীভাবে ঝুলাবেন তাও গুরুত্বপূর্ণ। পর্দা একটু প্রশ্বস্ত করে লাগান। আর অবশ্যই একটু উঁচুতে লাগাবেন। এটি আপনার ঘরকে বিলাসবহুল দেখাবে। মনে রাখবেন, জানালার স্তরের চেয়ে আরও বেশি উচ্চতায় লাগাতে হবে পর্দা।
ঘরে আলোর ঝলক রাখুন
ঘরকে বিলাসবহুল দেখাতে একাধিক আলোর উপস্থিতি রাখুন। ঘরের প্রতিটি দেয়ালে ও সিলিংয়ে আলোর ব্যবস্থা করুন। ঘরের লাইটিং ডিজাইন একটি ওভারহেড ফিক্সচার দিয়ে শুরু করুন। সেখানে একাধিক বাল্ব লাগিয়ে নিন। অতিরিক্ত ওয়াল মাউন্ট এবং টেবিলটপ ফিক্সচারগুলো অন্ধকার জায়গাগুলোকে আলোকিত করবে। ঘরের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কর্ণার থেকে লাইটেনিং ফিক্সচার্স লাগাতে পারেন।
জানালাকে খুব বেশি অলংকৃত করবেন না
ঘর ছোট হলে জানালার পর্দাও হালকা রাখুন। পর্দায় ব্লাইন্ডস বা রোমান শেডগুলো ব্যবহার করতে পারেন। সাধারণ ড্রেপারি প্যানেল লাগাতে পারেন। এগুলো ঘরের আর্কিটেকচারকে মৃদু মাধুর্যতায় ভরিয়ে রাখবে।
মানানসই কার্পেট বাছুন
বসার ঘরকে সুন্দর দেখাতে কার্পেট ব্যবহার করা হয়। মানানসই কার্পেট বাছুন। ঘরের আকার এবং আয়তন বিবেচনা করে কার্পেট বেছে নিন। বসার ঘরে ছোট আকারের কার্পেট ঘরকে আরো ছোট দেখাবে। কার্পেট কেনার আগে খেয়াল রাখুন তা আনুপাতিক হয় কিনা।
আপনার মতামত লিখুন :