• ঢাকা
  • রবিবার, ০৮ জুন, ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১১ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

যে লক্ষণগুলো বিবাহ বিচ্ছেদের ইঙ্গিত দেয়


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৪, ২০২৩, ০৫:৪৩ পিএম
যে লক্ষণগুলো বিবাহ বিচ্ছেদের ইঙ্গিত দেয়
সম্পর্ক টানাপেড়েন ধরে রাখা উচিত নয় । ছবি : সংগৃহীত

আগেরকার তুলনায় আজকাল বিবাহ বিচ্ছেদ বাড়ছে। ভালোবেসে বিয়ে করার পরও টিকছে না সংসার। অন্যদিকে পারিবারিক আয়োজনে হওয়া বিয়েও টেকানো যাচ্ছে না কোনোভাবে। 

আসলে দুটি আলাদা মানুষ যখন সারাজীবন একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নেন তখন অনেককিছু হিসাব-নিকাশ করতে হয়। কিছু বিষয়ে ছাড় দেওয়া, আবার কিছু বিষয় গ্রহণ করা। এটাই সংসারের নিয়ম। এ তো নতুন কিছু নয়। 

তবু কখনও কখনও পরিস্থিতি এমন হয় যে, নিজের ওপর ঘটে যাওয়া খারাপ সময়গুলো এলে বা সম্পর্কে টানাপোড়েন চলার সময় কিছুই টের পাওয়া যায় না। বোঝাও যায় না, এগুলোই বুঝি তার কেটে যাওয়ার ইঙ্গিত। যেমন-

সব সংসারেই টুকটাক ঝামেলা, মনোমালিন্য ঘটে। কিন্তু তাই বলে সঙ্গীর সঙ্গে দিনের পর দিন কথা না বলে থাকতে পারা। যেখানে একটি দিনও দূরে যেত না, সেখানে মুখ দেখাদেখি বন্ধ হয়ে যাওয়া। আগের মতো টান কাজ না করা কিন্তু ভালো লক্ষণ নয়। ইগোর কারণে দন্দ্ব মিটমাট না করে ও সঙ্গীর সঙ্গে কথা না বলে দিন কাটানো। তখনই বুঝতে হবে এ লক্ষণ বিবাহবিচ্ছেদের দিকে টেনে নিতে পারে। 

অন্যদিকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ছোটখাট বিষয় নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হলে একে অন্যের ওপর সব দোষ চাপানো এবং বারবার এটি নিয়ে বলতে থাকাও বিবাহবিচ্ছেদের কারণ হতে পারে। এই লক্ষণ থাকলে সতর্ক হয়ে যাওয়া ভালো।

যেকোনো দন্দ্ব মিটমাট হওয়ার পরও অতীতের বিষয়গুলো নিয়ে সঙ্গীকে সবসময় খোঁচা মারার অভ্যাসও বিপজ্জনক। এটি সম্পর্কের অবনতি ঘটায়। তাই ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটলে তা নিয়ে আর কথা না বলাই বুদ্ধিমানের কাজ।

অনেকগুলো কারণে বিচ্ছেদ হতে পারে। তারমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো, মানসিক অশান্তি। বিবাহিত জীবন যখন মানসিক অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তখন মানুষ বাধ্য হয়ে বিচ্ছেদের পথ বেছে নেয়। অবহেলা, অকারণে সন্দেহ মানসিকতায় বেশ খারাপ প্রভাব ফেলে। এগুলো থেকে পরিত্রাণ পাওয়া কঠিন। এসব বিষয়ও বিচ্ছেদের অন্যতম লক্ষণ। তাই আগে থেকে সতর্ক হওয়া ভালো।

Link copied!