মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত

জারিফের পর চলে গেলেন অফিস সহায়ক মাসুমা


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুলাই ২৬, ২০২৫, ১২:৫৫ পিএম
জারিফের পর চলে গেলেন অফিস সহায়ক মাসুমা
ঘটনাস্থল। ছবি : সংগৃহীত

উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ আরও একজন মারা গেছেন। তার নাম মাসুমা (৩২), তিনি একজন অফিস সহায়ক (আয়া) ছিলেন।

শনিবার (২৬ জুলাই) সকাল সোয়া ১০টায় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে আজ সকাল ৯টা ১০ মিনিটে জারিফ ফারহান (১৩) নামে এক শিক্ষার্থী মারা যায়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৫ জনে।

মাসুমা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার শ্বাসনালীসহ শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। ক্রিটিকাল অবস্থায় লাইফ সাপোর্টে ছিলেন তিনি। 
তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন আবাসিক অফিসার ডা. শাওন বিন রহমান।

শাওন বিন রহমান বলেন, “বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এ নিয়ে বার্ন ইনস্টিটিউটে ১৭ জনের মৃত্যু হলো। এখনো ভর্তি আছেন ৩৮ জন। যাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তারা ক্রিটিক্যাল অবস্থায় আইসিইউতে আছেন।”

মৃত মাসুমার স্বামী মো. সেলিম জানান, মাইলস্টোন স্কুলের আয়ার কাজ করতেন তার স্ত্রী। তিনি নিজে একটি বায়িং হাউজে চাকরি করেন। তাদের বাড়ি ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায়। তার বাবার নাম আবুল কাশেম। এক ছেলে এক মেয়েকে নিয়ে তুরাগ নয়ানগর শুক্রভাঙ্গা এলাকায় থাকতেন তারা।

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধদের ৪০ জন এখনও জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকালে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন।

নাসির উদ্দিন বলেন, “এখন ৪০ জন ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে ক্রিটিক্যাল অবস্থা পাঁচজনের। তাদের আইসিইউতে রাখা হয়েছে। তাদের চাইতে একটু কম গুরুতর অর্থাৎ সিপিআর ক্যাটাগরিতে রয়েছে ১০ জন। ইন্টারমিডিয়েট ক্যাটাগরিতে পোস্ট অপারেটিভ রয়েছে আরও ১০ জন এবং ক্যাবিনে রয়েছে ১৫ জন।”

প্রসঙ্গত, গত ২১ জুলাই দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসের একটি ভবনে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই সামরিক বিমান দুর্ঘটনায় যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের বেশির ভাগই শিশু।

Link copied!