• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জীবিত অবস্থায় কবরে কাটালেন জিমি


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২৩, ০৮:৫৮ পিএম
জীবিত অবস্থায় কবরে কাটালেন জিমি
সাত দিন কফিনে থাকা ইউটিউবার ডোনাল্ডসন। ছবি-সংগৃহীত

মানুষ কত ধরণের বিচিত্র মানসিকতার হয় তার শেষ নেই। সেই প্রমাণ দিলেন একজন ইউটিউবার। তার নাম জিমি ডোনাল্ডসন। মানুষকে আনন্দ দেওয়ার জন্য কবরে কাটালেন ৭দিন।

জিমি ডোনাল্ডসন, যুক্তরাষ্ট্রে মি. বিস্ট নামে পরিচিত। তিনি একজন জনপ্রিয় ইউটিউবার। চমকে দেওয়া ভিডিও ব্লগ থেকে কোটি কোটি টাকা আয় করে থাকেন। অন্যান্য ভিডিওগুলোকে ছাপিয়ে এবারের কনটেন্টটি একেবারেই ব্যতিক্রম ছিল। কারণ মাটির তলায় ৭ দিন কফিনবন্দি থাকার পরও তিনি জীবিত ছিলেন।

আসলে ঝুঁকিবহুল স্টান্টের আগে যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়েছিলেন মিস্টার বিস্ট। যদিও তার কফিনের ওপরে ২০ হাজার পাউন্ড মাটি ঢালা হয়েছিল, তথাপি কফিনের ভিতরটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। এছাড়াও কফিনের ভেতর শুকনা খাবার ও পানীয় নিয়ে গিয়েছিলেন। যাতে করে এই স্টান্ট কোনো বিপর্যয় ডেকে না আনে। 

মিস্টার বিস্টের সঙ্গে ছিল একটি ওয়াকিটকিও। সেটির মাধ্যমে তার সঙ্গে ৭ দিন ধরে যোগাযোগ রাখছিলেন উদ্ধারকারীরা। এছাড়াও কফিনে লাগানো ছিল ক্যামেরা ও রেকর্ডার।

জানা গেছে, যখন ডোনাল্ডসনসহ কফিন মাটির নিচে রাখা হয়, সেই সময়কার অনুভূতি সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি সাত দিনের জন্য নিজেকে এই কফিনে সমর্পণ করেছি। মাটির নিচে থাকার সময় বেশ কয়েকবার তিনি বিমর্ষ হয়ে কান্না করেছেন। তার এই কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনায় ছিল, সেখানে যতটা সম্ভব বেশি ঘুমানো।

চতুর্থ দিন ডোনাল্ডসন বলেন, আমি আশা করি, আগামীকালের দিনটি সহজ হবে। এটি অদ্ভুত অনুভূতি। আমি অনেক ক্লান্ত, কিন্তু কিছু কারণে ঘুমাতে পারছি না। আমি জানি না কেন। আগে কখনো এমন হয়নি। আমি কেন কাঁদছি, জানি না।

ডোনাল্ডসন যখন কফিন থেকে বেরিয়ে এলেন, তখন তার বন্ধু ও অনুসরণকারীরা তাকে ব্যানার নিয়ে স্বাগত জানান। সেখানে লেখা ছিল, তার গ্রাহকের (সাবস্ক্রাইবার) সংখ্যা ২১ কোটি ৩০ লাখ। এর মধ্য দিয়ে ইউটিউবে ব্যক্তি হিসেবে সবচেয়ে বড় কনটেন্ট ক্রিয়েটরে পরিণত হলেন তিনি। 

ডোনাল্ডসন ১৮ নভেম্বর কবরের অভিজ্ঞতা নিয়ে ১৮ মিনিটের একটি ভিডিও নিজের চ্যানেলে পোস্ট করেন। এরই মধ্যে এটি প্রায় ৬ কোটি ৪০ হাজার মানুষ দেখেছেন।

ডোনাল্ডসন এমনটা এবারই প্রথম করেছেন, বিষয়টা এমন নয়। ২০২১ সালের মার্চেও তিনি একইভাবে ৫০ ঘণ্টা মাটির নিচে কাটিয়েছেন।

Link copied!