• ঢাকা
  • শনিবার, ২৪ মে, ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২৫ জ্বিলকদ ১৪৪৬

ঈদুল আজহার পোশাক কেমন হবে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২৩, ২০২৫, ০৬:৪২ পিএম
ঈদুল আজহার পোশাক কেমন হবে
ছবি: সংগৃহীত

ঈদুল আজহা মুসলিমদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এই ঈদে আত্মত্যাগের পাশাপাশি দেখা যায় ঘর সাজানো, নতুন পোশাক পরে, পরিবার-পরিজনদের নিয়ে আনন্দঘন পরিবেশ তৈরি হয়। ঈদের নামাজ, পশু কোরবানি, আত্মীয়দের আসা-যাওয়ার মধ্যেই ঈদের দিনটি কেটে যায়। তীব্র গরমে সব সামলে নিতে আরামদায়ক ও আকর্ষণীয় পোশাকের দিকেই আগ্রহ সবার।  তাই এবারও ঈদ পোশাক আয়োজনে যুক্ত হয়েছে কিছু নতুন ধারা, ট্রেন্ড ও প্রযুক্তির ছোঁয়া।

এই ঈদে পুরুষদের পোশাকে আধুনিকতা ও ঐতিহ্যের সমন্বয় দেখা যাচ্ছে। সাধারণত পাঞ্জাবি, পায়জামা বা প্যান্ট, এবং কখনো শেরওয়ানি বা ফতুয়াকে পুরুষরা বেছে নেন। তবে এবার কিছু নতুন ট্রেন্ড এসেছে। কটন ও লিনেন ফ্যাব্রিকের আধিপত্য বেড়েছে। ঈদের সময় গরম ও আর্দ্রতা থাকে বলে হালকা ও আরামদায়ক ফ্যাব্রিক যেমন কটন, লিনেন ও ম্যালবো কটনের পাঞ্জাবি বেশি জনপ্রিয়। এগুলো ঘাম শোষণ করে এবং আরাম দেয়।

এবারের ট্রেন্ড ‘Less is More’। সাদা, অফ-হোয়াইট, প্যাস্টেল রঙের হালকা এমব্রয়ডারি বা টোন-অন-টোন কাজ করা পাঞ্জাবি ও কুর্তা জনপ্রিয় হচ্ছে।

ডিজিটাল প্রিন্ট ও আর্টওয়ার্ক দেখা যাচ্ছে। মধ্যবিত্ত ও তরুণদের মধ্যে ডিজিটাল প্রিন্টেড পাঞ্জাবি, ব্লক প্রিন্ট ও টাই-ডাই ডিজাইন বেশ আগ্রহ জাগাচ্ছে।

নারীদের পোশাকেও রয়েছে বৈচিত্র্য ও আরামের সমন্বয়। নারীদের ঈদের পোশাকে সবসময়ের মতোই রয়েছে রঙ, নকশা, ফ্যাব্রিক ও কারুকাজের সমারোহ। 
এবার সফট রঙ ও টোনড-ডাউন গ্ল্যামার দেখা যাচ্ছে। অতিমাত্রায় ঝলমলে পোশাকের বদলে এবার ট্রেন্ড ‘সাবলীল স্টাইল’। পিচ, ল্যাভেন্ডার, সী গ্রীন, ডাস্টি পিংক এসব রঙে সিল্ক, মসলিন বা ভিসকস কাপড়ে হালকা হ্যান্ডওয়ার্ক বা সিকুয়িন কাজ করা পোশাক জনপ্রিয়।

এথনিক কামফোর্ট যেমন লং কামিজ, আঙরাখা কাট, কেপ-স্টাইল কুর্তি কিংবা স্ট্রেইট কাট কামিজ– সবই জনপ্রিয় হচ্ছে। তবে শরীর ঢেকে রাখে এমন আরামদায়ক ডিজাইনের পোশাক বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে।

হিজাব ও স্কার্ফ স্টাইলে রয়েছে সাটিন, কটন বা জর্জেট হিজাবে লেইস, পুঁতি ও হালকা প্রিন্টের সমন্বয়।

শিশুদের জন্য ঈদ মানেই নতুন জামা আর খুশি। তবে কোরবানির ঈদে পশু সামলানো বা খেলার জন্য পোশাকে থাকা চাই আরাম ও গতি। ছেলে শিশুদের জন্য হাফ স্লিভ কুর্তা, কটন পাঞ্জাবি, বা টি-শার্ট ও জিন্স– যেটাতে তারা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। মেয়ে শিশুদের জন্য সালোয়ার-কামিজ, কুর্তি-পালাজ্জো, বা ফ্রক টাইপ পোশাকে রঙের বৈচিত্র্য ও হালকা ডিজাইন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

কেমন পোশাক বেছে নিবেন

ঈদের নামাজে হালকা, পরিপাটি এবং পরিষ্কার পোশাক পরাই উত্তম। হালকা সাদা, অফ হোয়াইট বা নীলচে রঙ মানানসই হবে।

কোরবানি দেওয়ার সময় পরিধানযোগ্য পুরনো বা ধোয়া সহজ এমন পোশাক পরা ভালো। অনেকেই আলাদা করে "কোরবানির ড্রেস" রাখেন।

বিকেলের অতিথি আসা-যাওয়া বা আত্মীয়দের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য একটু উৎসবমুখর পোশাক বেছে নিতে পারেন।

ঈদের পোশাক আয়োজন হচ্ছে আধুনিকতা, পরিমিতি এবং স্বাচ্ছন্দ্যের এক নিখুঁত সংমিশ্রণ। ধর্মীয় অনুভূতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে পোশাকে থাকা চাই পরিশীলন, রুচিশীলতা এবং পরিবেশ অনুযায়ী সঠিকতা।

Link copied!