হাঁসের মাংসের তরকারি, ভুনা বেশ প্রচলিত। আর কালাভুনা বলতে গরুর মাংস ছাড়া যেন ভাবতেই পারি না। কিন্তু এ ধারণা থেকে বেরিয়ে এসে একবার হাঁসের কালাভুনা খেয়ে দেখতে পারেন।
তবে কালাভুনা রান্নার কথা মাথায় এলেই কেমন যেন জট পাকিয়ে যায়। বেশ জটিল মনে হয় পদ্ধতি। আর এই জটিলতাকে সহজ করতেই রইল রেসিপি। শীতের এই সময় একবার হলেও রাখতে পারেন এই পদ।
যা যা লাগবে
- হাঁস ১ কেজি
- পেঁয়াজকুচি দেড় কাপ
- ধনে পাতাবাটা ১ টেবিল চামচ
- টমেটো পিউরি ১ টেবিল চামচ
- দারচিনি ৩ টুকরা
- আদাবাটা ২ টেবিল চামচ
- রসুনবাটা দেড় টেবিল চামচ
- মরিচের গুঁড়া ১ চা চামচ
- হলুদের গুঁড়া ১ চা চামচ
- লবণ স্বাদমতো
- তেল পরিমাণমতো
- পানি প্রয়োজনমতো।
আরও বিশেষ কিছু মসলা
- জয়ত্রি সামান্য
- জিরা ২ চিমটি
- এলাচ ৫টি
- লবঙ্গ ৭-৮টি
- শুকনামরিচ ৪-৫টি মেথি ২ চিমটি
- তেজপাতা ২টি
- পাঁচফোড়ন ২ চিমটি
- গোলমরিচের গুঁড়া ২ চিমটি
যেভাবে রাঁধবেন
প্রথমে বিশেষ মসলাগুলো কড়াইতে সামান্য টেলে নেওয়ার পর গুঁড়া করে নিন। এবার মাংস টুকরা করে কেটে ভালো করে ধুয়ে রাখুন। কড়াইয়ে তেল গরম করে প্রথমে পেঁয়াজকুচি লবণ এবং দারচিনি দিয়ে ভাজুন। এ সময় আগুন মাঝারি আঁচে রাখুন।
এবার পেঁয়াজকুচি একটু হলুদ হয়ে এলে আদা ও রসুনবাটা দিয়ে দিন। এরপর লালমরিচের গুঁড়া এবং হলুদে গুঁড়া দিন। টমেটো পিউরি ও ধনে পাতাবাটা দিন। এরপর এককাপ পানি দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর সবগুলো ভালো করে কষাতে থাকুন।
তেল ওপরে উঠে এলে মাংস দিয়ে কষিয়ে নিন ১০ মিনিটের মতো। মাংস নরম না হলে আরও এক কাপ পানি দিয়ে ঢেকে রাখুন। মাঝে মাঝে নাড়িয়ে দিন। এবার বিশেষ মসলার গুঁড়া দিয়ে দিন। দেওয়ার পর ভালো করে নাড়িয়ে মিশিয়ে নিন।
এভাবে রেখে দিন আরও ৫-১০ মিনিট। এবার চুলা থেকে নামিয়ে নিতে পারেন। সবশেষে গরম ভাত অথবা রুটির সঙ্গে পরিবেশন করুন।
আপনার মতামত লিখুন :