• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

রেস্তোরাঁয় এই আচরণগুলো একেবারেই করবেন না


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০২৩, ০১:২২ পিএম
রেস্তোরাঁয় এই আচরণগুলো একেবারেই করবেন না

রেস্তোরাঁয় গিয়ে প্রায়ই আমরা এমন কিছু আচরণ করে থাকি যা করা একেবারেই অনুচিত। অন্যান্য সামাজিক প্রতিষ্ঠানের মতো রেস্তোরাঁয় খেতে আসা অতিথিদের জন্যও রয়েছে কিছু শিষ্টাচার। যেগুলো সবারই মেনে চলা উচিত। চলুন জেনে নেওয়া যাক, অতিথি হিসেবে কোন আচরণগুলো রেস্তোরাঁয় করা একেবারেই ঠিক নয়।

বখশিশ

ইউরোপের অনেক দেশ বকশিশ দিতে নারাজ। এদিকে আবার এশিয়ার দেশ চীন, জাপান, কোরিয়ায় কোনো কাজের বিনিময়ে আলাদা করে বকশিশ দেওয়াকে অপমানজনক হিসেবে দেখা হয়। বাংলাদেশে অবশ্য বকশিশ নিয়ে এমন কোনো কঠিন বাধ্যবাধকতা নেই। আজকাল অবশ্য রসিদে আলাদাভাবে ১০ শতাংশ সার্ভিস চার্জ যোগ করে অনেক রেস্তোরাঁ। তবে যদি না করে, সে ক্ষেত্রে যে ব্যক্তি আপনাকে খাবার পরিবেশন করছেন, তাকে খুব বেশি না হলেও কিছু বকশিশ দিতে পারেন।

ভিড় করা
দুপুরের খাবার খেতে গিয়ে দেখলেন রেস্তোরাঁয় বসার জায়গা নেই। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে। এ সময় যারা টেবিলে বসে খাচ্ছেন, তাদের টেবিলের কাছে ঘোরাঘুরি না করাই ভালো। টেবিল থেকে দূরে কোনো জায়গা থাকলে সেখানে অপেক্ষা করুন।

খাওয়া শেষে
দুপুর ও রাতের খাওয়ার সময় রেস্তোরাঁগুলোর ব্যস্ততা থাকে তুঙ্গে। এ সময় খাওয়া শেষ হলে শুধু শুধু বসে না থেকে অপেক্ষারত অন্য অতিথির জন্য দ্রুত টেবিল ছেড়ে দেওয়া উচিত।

রেস্তোরাঁর রুমাল
রেস্তোরাঁর টেবিলে আপনার সামনে যে কাপড়ের রুমাল দেওয়া হয়েছে, সেটি শুধু আপনার পোশাকের নিরাপত্তায় ব্যবহারের জন্য। আগেও এটি অন্য অতিথি ব্যবহার করেছেন এবং ধুয়ে পুনরায় ব্যবহার করা হবে। তাই কোনোভাবেই রেস্তোরাঁর দেওয়া রুমালে হাঁচি-কাশি দেওয়া যাবে না।

অসুস্থ অবস্থায়
ঠান্ডা, জ্বর, হাঁচি, কাশি, সর্দির মতো হালকা রোগ থাকলেও রেস্তোরাঁয় না যাওয়া উচিত নয়। আপনার মাধ্যমে কেউ কোনো রোগে আক্রান্ত হয়ে যেতে পারে

প্লেট গোছানো
খাবার শেষে প্লেট-গ্লাস গুছিয়ে একত্র করলে এটা আসলে ইঙ্গিত করে যে রেস্তোরাঁর কর্মচারীরা ঠিকভাবে তাদের কাজ করছেন না। তা ছাড়া প্লেট-গ্লাস সঠিকভাবে পরিপাটি করে গুছিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে ওয়েটাররা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে থাকেন। তাই তাদের কাজ তাদেরই করতে দিন। এরপর কোনো রেস্তোরাঁয় গেলে খাবার উপভোগ শেষে পিছিয়ে বসুন, ওয়েটারকে টেবিল গোছানোর অনুমতি দিন।

মেনুর বাইরে খাবার 
আপনি বিরিয়ানির সঙ্গে বোরহানি খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু রেস্তোরাঁয় গিয়ে দেখলেন সেখানে আছে কোমল পানীয়। আপনি যদি এখন বোরহানি দাবি করেন, তাহলে সেটি হবে অপ্রত্যাশিত আচরণ। তাই রেস্তোরাঁর খাবারের তালিকার বাইরে কোনো খাবার না চাওয়াই ভালো।

পাশেরজনের গ্লাস
প্লেট-গ্লাস সাজানো টেবিলে বসলে কোন পাশেরটা যে নিজের গ্লাস আর কোনটা পাশেরজনের, বুঝতে অনেকেই ঝামেলায় পড়েন। এ সমস্যার সহজ সমাধান দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পেশাদার শিষ্টাচার প্রশিক্ষক এবং ‘ম্যানর অব ম্যানার্স’ বইয়ের লেখক মেরিয়ান পার্কার। বলেন, আপনি যেখানে বসেছেন, তার ডানে রাখা গ্লাস থেকে পান করুন এবং ডানেই রাখুন। এতে অন্য কারও গ্লাস নিয়ে নেওয়ার শঙ্কা কম থাকবে।

বিলের জন্য অপেক্ষা
খাওয়া শেষ করে চুপচাপ বসে থেকে যদি ভাবেন যে এমনিই কেউ বিল দিয়ে যাবেন, তাহলে ভুল করবেন। রেস্তোরাঁর কর্মচারীরা আপনার বসে থাকা লক্ষ না–ও করতে পারেন। এতে আপনারই সময় নষ্ট হবে। তাই খাওয়া হলে টাকা পরিশোধের জন্য আপনি প্রস্তুত, এটি কাউকে ডেকে জানাতে হবে।

বিল নিয়ে টানাটানি
কয়েকজন মিলে একসঙ্গে খেতে গিয়ে কে দাম পরিশোধ করবে সেটি নিয়ে কাড়াকাড়ি শুরু হয়ে যায়। করবে, কিন্তু তা নিয়ে অনেক সময়ই তর্কাতর্কি বেধে যায়। এটা রেস্তোরাঁর কর্মীদের সময় নষ্ট করে। তাই সঙ্গীদের আগে থেকেই জানিয়ে দিন, আজকে আপনি খাওয়াচ্ছেন।

উত্তেজক বিষয়ে কথোপকথন
রাজনীতি, ধর্ম ইত্যাদি বিষয়ে রেস্তোরাঁয় বসে কথা বলা উচিত নয়, যা কলহ সৃষ্টি করতে পারে।

অন্যের খাবার খাওয়া
সঙ্গের ব্যক্তিদের খাবার আসার আগে যদি আপনার খাবার দিয়ে যায়, তাহলে কোনোভাবেই একা একা খাওয়া শুরু করা যাবে না। খাবার সামনে নিয়ে বসে থাকলে অন্যরা অনেক সময় হাসাহাসি করেন। তবে এটি শিষ্টাচারের অংশ। অবশ্য অনেকের খাবার চলে এলেও কয়েকজনেরটা আসতে দেরি হলে অপেক্ষারত ব্যক্তিদের অনুমতি নিয়ে বাকিরা খাওয়া শুরু করতে পারেন।


উচ্চ স্বরে কথা
ভালো কিছু সময় কাটাতে আপনি রেস্তোরাঁয় গিয়ে অনবরত উচ্চ স্বরে কথা বলে যাচ্ছেন এটি অবশ্যই খারাপ। অন্যদের বিরক্তির কারণ হতে না চাইলে সঙ্গীদের সঙ্গে নিচু স্বরে কথা বলুন।

হাততালি বা আঙুলে তুড়ি বাজিয়ে ওয়েটারকে ডাকা
এটি অপমানজনক আচরণ। বসে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। ওয়েটার নিজে থেকে না এলে হাততালি কিংবা তুড়ি বাজিয়ে শব্দ না করে এক হাত তুলে নিঃশব্দে ইশারা করুন।

Link copied!