• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বার বার পোশাক কিনছেন? এই আসক্তি ক্ষতিকর!


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০২২, ১১:১০ পিএম
বার বার পোশাক কিনছেন? এই আসক্তি ক্ষতিকর!

নতুন পোশাক পরতে সবাই ভালোবাসে। নিত্যনতুন ডিজাইনের পোশাক পরবে আর ফ্যাশনের সঙ্গে তাল মেলাবে, এটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু নতুন পোশাক একবার পরেই তা ছুড়ে ফেলে দেওয়ার অভ্যাস কিন্তু ভালো নয়। অনেকেই রয়েছেন যারা নতুন পোশাক একবার পরেই দ্বিতীয়বার ব্যবহারে আপত্তি থাকে। এরপর তা ফেলে দেয় বা অন্য কাউকে দিয়ে দেওয়া হয়। এই অভ্যাস জীবনযাত্রার ক্ষতিকর দিক। এমনকি এটি পরিবেশেরও ক্ষতি করে। কীভাবে জানেন?

ফেলে দেওয়া পোশাকই গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ, পানি এবং বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাজ্যের পরিবেশগত অডিট কমিটি এই বিষয়ে তথ্য দিয়েছে। তারা পরিবেশ এবং শ্রম বিষয়ক কয়েকটি সুপারিশ করেছে। এই অভ্যাস ক্ষতিকর। তাই এই ক্ষতিকর শপিং করার অভ্যাস কমানোর কিছু কার্যকরী পরামর্শ দিয়েছেন। চলুন জেনে নেই সেই পরামর্শগুলো কী কী।

কম কিনতে হবে

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, কমাতে হবে কেনাকাটা। নির্দিষ্ট কোনও অনুষ্ঠানের জন্য আলাদা পোশাক লাগবে এই মানসিকতা থেকে বের হতে হবে। প্রথম দিকে এই অভ্যাস কিছুটা খারাপ লাগলেও তা চর্চা করা নিজের জন্যই উপকারী। এরজন্যে সব ধরণের চেষ্টা করতে হবে। নতুন পোশাক কেনার অভ্যাস পাল্টে ফেলা ভালো উদ্যোগ। সেন্টার ফর সাসটেইনেবল ফ্যাশনের উপযোগিতা, নকশা এবং ফ্যাশন বিষয়ক অধ্যাপক কেট ফ্লেচার বলেন, “কম পোশাক কেনা মোটেও দেহের প্রতি মারাত্মক কোনও অবিচার বা বঞ্চনা নয়। ওয়্যারড্রোবে যেসব পোশাক রয়েছে তা আগে লক্ষ্য করুন। এগুলোই আপনার জীবনমান নির্ধারণ করে।"

কেট ফ্লেচার আরও বলেন, “নতুন কেনা পোশাকটি তুষ্ট করার পরিবর্তে আমাদের অসন্তুষ্টির কারণ হয়ে যায়। কেনাকাটা করার সময় তৃপ্তি পায়। আর ওই কেনা পোশাকে পরে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। অতিরিক্ত পাওয়ার বিষয়টি মানুষের কল্যাণের বোধকে কমিয়ে দিতে পারে। এই অভ্যাস একাকীত্ব ও অবসাদ ডেকে আনে। এটা মানুষের সুখ কেড়ে নেয়।"

পুরোনো পোশাক কিনুন

মিস ফ্লেচার- টেকসই ফ্যাশন ও ফ্যাশনপ্রেমিদের নিয়ে লিখেছেন। এই ফ্যাশন বিশেষজ্ঞ নিজের বইয়ে লিখেন, “আপনার রুচি যদি আসলেই নতুনত্ব, আধুনিকতা, পরিবর্তন এবং বৈচিত্র্যের উপর নির্ভরশীল হয় তবে আপনার ওয়্যারড্রোব আর সেকেন্ড হ্যান্ড পোশাক কেনাতেই আগ্রহী হবেন। এগুলো দিয়েই আপনি নতুনত্ব খুঁজে নিবেন।“ অর্থাত্ পুরোনো পোশাককে নতুনভাবে পড়ার মধ্যেও নতুনত্ব রয়েছে। রয়েছে সৃজনশীলতা।

কাপড় কেনায় সতর্ক হোন

যেকোন মূল্যে নতুন সিনথেটিক উপাদান দিয়ে তৈরি পোশাক কেনা উচিত নয়। বরং লিনেন কিংবা জৈব সুতি বস্ত্র যা গ্লোবাল অরগানিক টেক্সটাইল স্ট্যান্ডার্ডের অনুমোদনের আওতায় পড়ে এমন কাপড়ের পোশাক কিনুন। এসব পোশাক নিখুঁত না হলেও দীর্ঘস্থায়ী। কাপড়ের যত্ন নিন। গরম পানিতে না ধুয়ে ঠাণ্ডা পানিতে কাপড় ধুয়ে নিন। এতে কাপড় টেকসই হবে। বারবার নতুন কাপড় কিনতে হবে না। 

যাচাই করে কিনুন

কোনও ব্র্যান্ড থেকে নতুন কাপড় কিনছেন তা সম্পর্কে বিস্তারিত যাচাই করুন। এসব পোশাক কোথায় এবং কারা বানিয়েছে তা দেখে নিন। কেনার আগে পোশাক সম্পর্কে ধারণা নিন। নিজেই সবদিক যাচাই করুন। পোশাকের কাপড়, রং কতটা টেকসই দেখুন। তাহলে কাপড় দীর্ঘস্থায়ী হবে। বার বার নতুন কাপড় কেনার ঝামেলায় পড়তেও হবে না।

সূত্র: গুগল

Link copied!