• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

মানুষের মতোই কাজ করে এই রোবট, বাংলাদেশি যুবকের আবিষ্কার


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৯, ২০২২, ০৫:২২ পিএম
মানুষের মতোই কাজ করে এই রোবট, বাংলাদেশি যুবকের আবিষ্কার

The invention of robots to make life easier is not new. Scientists have shown this surprise to the world long ago. However, Farid Hossain surprised by making the first robot in the history of Bangladesh. He recently invented a robot. Which will work exactly like humans. 

ঢাকার গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের কম্পিউটার এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র ফরিদ হোসেন। মানুষের আদলে তৈরি করেছেন রোবট। পানি নিয়ে আসার মতো সহজ কাজও করতে পারে এই রোবটটি। অবিকল মানুষ যা যা করতে পারে এই রোবটও তা করতে সক্ষম। ফরিদের  তৈরি এই রোবট মানুষের চেহারা শনাক্ত করতে পারে। পিছিয়ে নেই বুদ্ধিতেও। সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া, ইংরেজি এবং বাংলা বর্ণমালা লিখতে পারার মতো কাজগুলোও অনাসায়ে করতে পারে এই রোবট। শুধু তাই নয় বাড়িতে অতিথি এলে তাদের স্বাগত জানাতে এবং আপ্যায়নের দক্ষতাও  রয়েছে এই রোবটের। 

বিষ্ময়কর এই রোবট তৈরিতে ফরিদ হোসেনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তার দুই বন্ধু। এরা হলেন ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেক্ট্রনিক্সে ডিপ্লোমাপ্রাপ্ত রনি হোসেন এবং ওই প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়া ইকবাল মাহমুদ। এই তিনজনের আবিস্কৃত রোবটের সুন্দর একটি নামও রয়েছে। রোবটের নাম রাখা হয়েছে ‘রোবা’। এই নাম ধরে ডাকলে সাড়া দেওয়া এবং চলার পথে কোনও বাধা কাটিয়ে নিজের রাস্তা বের করতে পারবে রোবটটি। 

ফরিদ জানান, নবম শ্রেণিতে পড়াকালীন রোবটের প্রতি আগ্রহ জন্মায়। স্বপ্ন ছিল নিজে একটি রোবট তৈরি করবেন। প্রায় দুবছরের চেষ্টায় রোবটটি বানিয়েছেন তিনি। এটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যা চাহিদা অনুযায়ী সফটওয়্যার তৈরি করে রোবার মধ্যে পরিবর্তন নিয়ে আসা সম্ভব।

ফরিদ আরও জানান, রোবটটির পুরো শরীর তৈরি করা হয়েছে থ্রিডি প্রিন্টারে। যা তাকে সুন্দর লুক দিয়েছে। রোবটটি যেন সহজেই হাত নাড়াতে পারে তাই ব্যবহার করা হয়েছে হাই টর্ক সার্ভো মোটর। এর দুহাতেই আছে চারটি করে আঙুল। যা দিয়ে যেকোনও জিনিস ধরতে পারে। রোবটটিতে ব্যবহার করা হয়েছে থ্রিডি ক্যামেরা এবং সেন্সর। যার সাহায্য়ে আশপাশের ছবি তুলে নিরাপদে চলাচল করতেও পারে এটি। 

রোবটটির বিষয়ে ফরিদ আরও জানান, এটি বানানোর সময় ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স’ দেওয়া হয়েছে। সেটির মধ্যে রয়েছে স্পিকার এবং মাইক্রোফোন। যার সাহায্যে প্রশ্ন শুনে জেনারেল নলেজ এবং অঙ্কের উত্তর দিতে পারে সে। এছাড়াও সামনে থাকা মানুষের সঙ্গে কথা বলার সময় চোখ বা মাথা নড়াচড়া করতে পারে। রোবটটি ২১ ধরনের অনুভূতি প্রকাশ করতে পারে। শুধু তাই নয়, ঘণ্টায় পাঁচ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারে। সেন্সার এবং ক্যামেরা থাকায় এটি কিছু খুঁজে নিতে পারে সহজেই। 

ফরিদের এটাই প্রথম আবিস্কার নয়,  ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে পড়ার সময় প্রথম রোবট আবিস্কার করেছেন। এরপর আরও তিনটি রোবট তৈরি করেন। তার সবশেষ আবিস্কার এই রোবা।

রোবা তৈরিতে কত ব্যয় হয়েছে তা জানিয়ে ফরিদ বলেন, “প্রায় ২৪ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।  বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের কাছে থেকে ২০ লাখ টাকা পেয়েছি।“

নিজের এই আবিস্কার নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত ফরিদ। অবিকল মানুষের মতো তৈরি এই রোবাকে দিয়ে রেস্তোরাঁ, হোটেল কিংবা হাসপাতালে কাজ করানো সম্ভব বলে দাবি করেন এই যুবক

Link copied!