‘সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে’ এই কথাটি একেবারেই ভিত্তিহীন। কারণ সংসারের ভালো-মন্দ, সুখ-দুঃখ দুজনের ওপরেই নির্ভর করে। কারণ দম্পতি হিসেবে সংসার টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব স্বামী স্ত্রী দুজনেরই। আর দুজন মিলে কী ধরনের দাম্পত্য জীবন পার করছেন সেটাও গুরুত্বপূর্ণ।
চলুন জেনে নিই আমাদের চেনা দাম্পত্য জীবনের কয়েকটি ধরণ-
সুবিবেচক দম্পতি
এই ধরনের দম্পতি খুব শান্তভাবে একে অপরের সঙ্গে কথা বলে থাকেন। যে কোনো সমস্যা তারা সেটা ঠাণ্ডা মাথায় সমাধানের চেষ্টা করেন। এরা সঙ্গীর কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেন এবং সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেনে। নিজেরা কোনো ঝগড়া বা খারাপ আচরণ করে ফেললেও সহজেই নিজের ভুল বুঝতে পারেন। আর পরিস্থিতি সামলে নিতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
অস্থির দম্পতি
এমন দম্পতি অনেক বেশি আবেগ প্রবণ হন। অনেক বেশি সংবেদনশীল হওয়াতে এরা জটিল কোনো কথোপকথনে যেতে চান না। একে অপরের সমালোচনা বা কঠিন শব্দ উচ্চারণ এড়িয়ে চলেন। এছাড়াও নিজেদের মাঝে কোনো ঝামেলা হলে তা যেন সম্পর্কের বন্ধনকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে সেদিকে নজর দেন বেশি।
দ্বন্দ্ব পরিহারকারী দম্পতি
এই ধরনের দম্পতিরা একে অপরের সঙ্গে খুব কম ঝগড়া করে থাকেন। নিজেদের মাঝে আসা কোনো সমস্যা তারা দ্রুতই মিটিয়ে নেয়। এমনকি নিজেদের গুরুতর মতবিরোধ দেখা দিলেও তারা সবচেয়ে ইতিবাচক দিকের মনোনিবেশ করেন। সম্পর্কে ঝামেলা এড়াতে এরা নির্দিষ্ট সীমারেখা মেনে চলেন।
শত্রুতাপূর্ণ দাম্পত্য
এই ধরনের দম্পতি মতবিরোধের ক্ষেত্রে খুব রক্ষণাত্মক আচরণ করেন। এরা একে অপরের সমালোচনার পাশাপাশি দোষারোপও করে থাকেন। এদের মাঝে তর্ক ও ঝগড়া লেগেই থাকে। একে অপরের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝার মতো মানসিকতা থাকে না। ফলে দাম্পত্য জীবন হয়ে ওঠে দুর্বিষহ।
বিচ্ছিন্ন দম্পত্তি
এই ধরনের দাম্পতি বেশিরভাগ সময় ঝগড়াঝাটি বা বাক বিতণ্ডায় ব্যস্ত থাকে। একে অপরের সাথে নেতিবাচক ভঙ্গিতে কথা বলে। এরা সাধারণত কোনো পরিস্থিতি না বুঝেই একে অপরের সঙ্গে ঝগড়া করেন। কোনোভাবেই একে অপরকে ছাড় দিতে চান না। সম্পর্ককে তিক্ততার পর্যায়ে নিয়ে যান। আর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিচ্ছেদ ঘটে।








































